গবেষণার পর নতুন মাদক ‘কুশ’ তৈরি করে বিদেশে পাচারের পরিকল্পনা করছিলেন
বিভিন্ন নতুন ধরনের মাদকের প্রতি আগ্রহ থেকে তা নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করতেন তিনি। প্রাথমিক পর্যায়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ থেকে একজন তাকে বিভিন্ন ধরণের অপ্রচলিত মাদক পাঠাতেন। পরে উত্তর আমেরিকার একটি দেশ থেকে তার কাছে মাদক আসতো এভাবে তিনি আন্তর্জাতিক মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হন।
এমন বিভিন্ন অপ্রচলিত ও নতুন মাদক বিক্রি এবং তাপ নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে 'কুশ' মাদক তৈরির অন্যতম হোতা ওনাইসি সাঈদ ওরফে রেয়ার সাঈদকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ মঙ্গলবার র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তার কাছ থেকে অপ্রচলিত মাদক এক্সট্যাসি, কুশ, হেম্প, মলি, এডারল, ফেন্টানিলসহ প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের দেশি ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয় বলে র্যাব জানিয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ওনাইসী সাঈদ তার মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন বলে র্যাব জানিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতের তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে তাপ নিয়ন্ত্রণ গ্রো-টেন্টের মাধ্যমে বিদেশি প্রজাতির ঘাস 'কুশ' তৈরির প্ল্যান্ট ও 'কুশ' মাদক তৈরির সেটআপ জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ছিল উন্নত দেশে 'কুশ' পাচার। এজন্য তিনি মোহাম্মদপুরের বাসায় উৎপাদিত প্রসেস করা 'কুশ' মাদক বাংলাদেশের অনেকের কাছে বিক্রি করেছেন।
তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র্যাব।
Comments