দাঁতের চিকিৎসা নিতে এসে ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় আহত নারীর মৃত্যু

কেউ একজন রিকশার হাতলে হাত রাখলে মোটর চালু হয়ে রিকশাটি দ্রুত গতিতে সামনের দিকে চলতে শুরু করে এবং ওই নরীর গায়ের ওপর উঠে যায়।
dead body
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজধানীর শাহবাগে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় আহত নারী তানিয়া খানম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিন দুপুর ৩টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় রিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হলে পথচারীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তাদের একজন আরিফুল ইসলাম। তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময় তানিয়ার সঙ্গে তার প্রায় দুই বছর বয়সী সন্তান তাসফিয়া সঙ্গে ছিল। 

'ওই নারী রাস্তার পাশে বসে ছিলেন। পাশেই রিকশা রেখে চালক কিছুটা দূরে একটি দোকানে গিয়েছিল। সে সময় কেউ একজন রিকশার হাতলে হাত রাখলে মোটর চালু হয়ে রিকশাটি দ্রুত গতিতে সামনের দিকে চলতে শুরু করে এবং ওই নরীর গায়ের ওপর উঠে যায়,' বলেন আরিফুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, 'শিশুটি বেঁচে গেলেও ওই নারী গুরুতর আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে রিকশাচালককে আটক করা হয় এবং আমরা আহত নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। দুর্ঘটনার তথ্য পেয়ে ওই নারীর স্বামী ও স্বজনরা হাসপাতালে এসে রিকশাচালককে ছেড়ে দিতে বলেন।'

হাসপাতালে তানিয়ার দেবর শেখ মাসুম বিল্লাহ গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তার ভাই হাসিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের অফিস সহকারী। তাদের বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লারহাট থানার কাহালপুর গ্রামে। হাসিবুর রহমান তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে আজিমপুর সরকারি কলোনিতে বাস করতেন।

'বড় ছেলে ও মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আড়াই বছরের মেয়ে তাসফিয়াকে নিয়ে নিজের দাঁতের চিকিৎসার জন্য ভাবী গিয়েছিলেন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে। ডাক্তার দেখিয়ে জাদুঘরের সামনের রাস্তায় বসেছিলেন, ভাইয়ার ডিউটি শেষ হলে একসাথে বাসায় ফিরবেন বলে। তখনই রিকশার ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন,' বলেন মাসুম।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-president Badruddoza Chowdhury passes away

He breathed his last at 3:15am today while undergoing treatment at the Uttara Women’s Medical College

35m ago