ভাষানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন: একে একে পরিবারের দগ্ধ ৬ জনই মারা গেলেন

প্রতীকী ছবি | স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজধানীর ভাষানটেকের কালভার্ট রোডের বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ লিজা আক্তার (১৮) নামে আরও একজন মারা গেছেন।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন লিজা। এই নিয়ে এ ঘটনায় লিজাসহ দগ্ধ ছয় স্বজনই মারা গেলেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ভাষানটেকের ঘটনায় দগ্ধ লিজা আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে লিজার ছোট ভাই সুজন (৯), ছোট বোন লামিয়া (৭) মা সূর্য বানু (৩০), বাবা লিটন মিয়া (৪৮) ও নানি মেহেরুন্নেছাও (৬৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

গত ১২ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে ভাষানটেক নতুন বাজার কালভার্ট রোডের বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন লিটন মিয়া, তার স্ত্রী সূর্য বানু, তাদের তিন সন্তান লিজা, লামিয়া, সুজন ও লিটনের শাশুড়ি মেহেরুন্নেছা।

লিটনের ভাই সোহরাব মিয়া জানান, তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায়। বাবার নাম মৃত আলী নেওয়াজ। আর সূর্য বানুর বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার রনুসো গ্রামে। পরিবারটি ভাষানটেক এলাকায় ভাড়া থাকত। মৃত সুজন ভাষানটেক ব্র্যাক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। লিজা ভাষানটেক মিরপুর মডেল ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন। পাশাপাশি একটি গার্মেন্টসে চাকরিও করতেন।

লিটনের প্রতিবেশী ময়না বেগম জানান, পরিবার নিয়ে কালভার্ট রোডের দ্বিতীয়তলা বাড়িটির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন লিটন। এলাকাতেই ফার্নিচারের ব্যবসা রয়েছে তার। রাতে ওই বাসায় সবাই ঘুমিয়ে ছিল। ভোরে লিটন মশার কয়েল জালানোর জন্য দিয়াশলাই জালাতেই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারটির ছয়জনই দগ্ধ হন।

তিনি আরও জানান, বাসাটিতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্না করতেন তারা। সবাই ধারণা করছেন, সিলিন্ডার থেকে লিকেজের কারণে বাসায় গ্যাস জমেছিল। মশার কয়েলের জন্য দিয়াশলাই জালাতেই সেই গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

7h ago