তিস্তা ও শীতলক্ষ্যায় গোসলে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীতে এবং গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসলে নেমে দুই শিশু মারা গেছে।
এদিকে, মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ীতে পদ্মার শাখা নদীতে গোসল নেমে গতকাল নিখোঁজ স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম
রাজারহাটে তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ সোহাগ ইসলামের (১০) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোহাগ উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব খাঁ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
তার ফুফা ইব্রাহিম আলম ডেইলি স্টারকে জানান, ঈদের ছুটিতে সোহাগ তার মামাতো-ফুফাতো ভাইবোনদের সঙ্গে শনিবার দুপুরে তিস্তা নদীতে গোসল করতে যায়।
সোহাগ নদীর পানিতে নিখোঁজ হলে স্থানীয়রা চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে পারেনি। পরে রংপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে
বিকেলের দিকে নদীর গর্ত থেকে সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করে।
গাজীপুর
কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে শীতলক্ষ্যা বরবের খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ফাহিম (১৪) দুপুরে আরও কয়েকজন শিশুর সঙ্গে নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'দুপুর ২টায় নিখোঁজের খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে খবর পাঠাই।'
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুমন রাহাত ডেইলি স্টারকে জানান, নূর হোসেন পরিবার নিয়ে শ্রীপুরের মাওনা এলাকায় থাকেন। ঈদে পরিবার নিয়ে বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। দুপুরে তার ছেলে সিংহশ্রী ইউনিয়নের বরবের ঘাটে বন্ধুদের সঙ্গে শীতলক্ষ্যায় গোসলে নামে। একপর্যায়ে সে নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ীর দিঘীরপাড়ে পদ্মার শাখা নদীতে গোসল করতে নেমে গতকাল নিখোঁজ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রামিন আরিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তার মরদেহ উদ্ধার করে বলে টংগিবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মজিবুর ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, 'দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ১০০ গজ দূরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।'
গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রামিনের বাবা রেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রিয়াদ আহমেদ রাজু এবং তার ভায়রা ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তারা ওই উপজেলার বেসনাল এলাকার স্বজন আলম মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ট্রলারে করে ৩০-৩৫ জন পদ্মার শাখা নদীতে ঘুরতে বের হন।
এ সময় তারা বেশ কয়েকজন ট্রলার থেকে গোসলে নামেন। এ সময় রামিন নদীর স্রোতের তোড়ে ভেসে যেতে থাকলে তার বাবা ও খালু তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও স্রোতের তোড়ে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন।
Comments