৮০ শতাংশের বেশি দগ্ধদের অবস্থা আশঙ্কাজনক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
![গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2024/01/14/samanta.jpg?itok=Bum_HRtP×tamp=1710659379)
গাজীপুরে সিলিন্ডারের আগুনের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, 'এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন যাদের শরীরের ৮০ শতাংশের বেশি দগ্ধ, তারাও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।'
আজ রোববার সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সকাল ৮টায় বার্ন ইনস্টিটিউটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'গাজীপুরের ঘটনায় চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচজন রোগী মারা গেছেন। অন্যদের মধ্যে যাদের ৮০ শতাংশের বেশি দগ্ধ তারাও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।'
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি, তবে আশঙ্কার বাইরে আমরা এখনো কাউকে রাখছি না।'
চিকিৎসাধীন রোগীদের সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, 'ভর্তিকৃতদের যা যা সেবা লাগে তা আমরা সবাইকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে দিচ্ছি। এখানে একজন রোগীরও চিকিৎসা ক্ষেত্রে কোনোরকম ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। আমরা শেষ সময় পর্যন্ত আমাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে দগ্ধ রোগীদের সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকব।'
এদিকে, আজ সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া দুজন হলেন গার্মেন্টস কর্মী আরিফুল ইসলাম ও ঝুট গোডাউনের শ্রমিক মহিদুল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, 'আরিফুলের শরীরের ৭০ শতাংশ আর মহিদুলের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো তাদের। সেখানেই তারা মারা গেছেন।'
আরিফুলের স্ত্রী সুমি আক্তার জানান, তাদের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামে। বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাস। পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈরে থাকতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।
মহিদুলের ভাই সিদ্দিক খান জানান, তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার ভেড়াখোলা গ্রামে। বাবার নাম সাবেত খান। কালিয়াকৈরে একটি ঝুটের গোডাউনে কাজ করতেন মহিদুল।
Comments