নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানায় আগুন, দগ্ধ ১৪

‘শ্রমিকরা পুরনো গ্যাস লাইন মেরামত করছিলেন এবং সেখানেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। লাইনটি বৈধ কি না, তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।’
আগুন লাগার ঘটনা ফায়ার সার্ভিসকে জানায়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ। ফলে, তাদের গ্যাস লাইন অবৈধ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ছবি: সৌরভ হোসেন সিয়াম/স্টার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ক্রোনী অ্যাপারেলস লিমিটেডে গ্যাসের লাইন মেরামত করতে গিয়ে অগ্নি দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪ জন দগ্ধ হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কাশিপুর ইউপির হাটখোলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) আহসান হাবিব।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, কারখানার কর্মী জিতু (৪০) আট শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় অবজারভেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি বলেন, 'বাকি ১৩ জন সামান্য দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।'

তারা হলেন—পলাশ কান্তি মণ্ডল, মুকুল, শান্ত, আমির মিয়া, মিঠুন বিশ্বাস, কামরুল, রুবেল, মনির, রিপন, শফিক, মেহেদী, জাকির ও মাহবুব কাজী।

কারখানার জেনারেল ম্যানেজার আহসান হাবীব বলেন, 'কারখানার পাশে রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। এ জন্য আমরা আমাদের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন মাটির কয়েক ফুট নিচে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছি। ঘটনার সময় কিছু ওয়েল্ডিং শ্রমিক পাইপলাইন মেরামতের কাজ করছিলেন। সেখান থেকেই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে যায়।

কারখানা পরিদর্শন শেষে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক ফকরুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ঘটনার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। আমরা কারখানার বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু সঠিক তথ্য না দেওয়ায় ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারা ঘটনাস্থল থেকে সবকিছু সরিয়ে নিয়েছে। তবে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।'

তিনি জানান, ঘটনাটি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা এসে দেখবে যে কোনো অবৈধ লাইন আছে কি না।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, শ্রমিকরা পুরনো গ্যাস লাইন মেরামত করছিলেন এবং সেখানেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। লাইনটি বৈধ কি না, তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।'

Comments