ময়মনসিংহ-মানিকগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০

রাসেল স্পিনিংয়ের বাস (বামে) ও খাদে পড়ে যাওয়া লেগুনা (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ ও মানিকগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।

আজ বুধবার সকালে দুই জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসচাপায় পাঁচ জন নিহত ও আরও নয় জন আহত হওয়ার বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন।

তিনি জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে শেরপুর থেকে ঢাকাগামী এসএস ট্রাভেলসের একটি বাস ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার চেলেরঘাটে গিয়ে চাকা ফেটে গেলে যাত্রীরা অন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় রাসেল স্পিনিংয়ের একটি বাস রাস্তার পাশে সাইড নিয়ে যাত্রী তুলছিল। তখন পেছন থেকে একটি বাস দ্রুত গতিতে যাত্রীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তিন জন নিহত ও ১১ জন আহত হন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়।

ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাদেকুর রহমান জানান, নিহতদের মধ্যে চার জন পুরুষ ও একজন নারী। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তাদের মধ্যে চার জন পোশাকশ্রমিক।

দুর্ঘটনার পর কিছুক্ষণ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও এখন তা স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের কাছে ভাটবাউর এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় লেগুনাচালক ও চার যাত্রীসহ পাঁচ জন নিহত হয়েছেন।

বিষয়টি ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার।

তিনি জানান, মানিকগঞ্জ অভিমুখী একটি অজ্ঞাত গাড়ি লেগুনাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে লেগুনাটি মহাসড়ক থেকে ছিটকে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে গেলে চালক ও চার যাত্রী মারা যান। আহত হন আরও দুই জন।

ওসি আরও জানান, আহতদের মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই জন নারী। নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Israeli strike hits military base south of Tehran

An Israeli attack on Saturday in Iran's west killed at least five army personnel and wounded nine others, Iranian media reported

2h ago