তিস্তা সেতু নির্মাণকাজে নিরাপত্তায় অবহেলা, আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু

তিস্তা সেতু। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মধ্যে সংযোগ তৈরিতে নির্মাণাধীন তিস্তা সেতুতে যথাযথ নিরাপত্তার অভাবে মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাথায় স্টিলের শার্টার পরে মারা গেছেন নির্মাণ শ্রমিক মো. হাবিবুর রহমান (৫০)। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উজান বোচাগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

মাত্র চার মাসে আগেও নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে আরেকজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।

৮৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার সেতুটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করছিলেন হাবিবুর রহমান। দুপুর ১২টার দিকে সেতুর একটি স্টিলের শার্টার পরে হাবিবুর আহত হলে তাকে হাসপাতালের উদ্দেশে নেওয়া হয়। তবে, পথেই তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, 'লোহার শার্টার পড়ে হাবিবুরের মাথায় আঘাত লাগে।'

স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনায় বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে হাবিবুরের মরদেহ নিয়ে নির্মাণ এলাকায় অবস্থান করেন তার আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী।

ঘটনাস্থল থেকে সুন্দরগঞ্জের এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি শুনেছি এর আগেও এখানে একজন শ্রমিক মারা গেছেন। নিরাপত্তা ইস্যুটি পুলিশ দেখছে। এই ঘটনায় ভিক্টিমের পরিবার অবহেলাজনিত মামলা করবে বলে জানতে পেরেছি।'

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, 'নিহতের পরিবার মামলা না দিলেও আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যু হলে মামলা করা হবে। কারণ, চার মাস আগেও এখানে আরেকজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সেই সময় কেউ মামলা করেনি।'

নিরাপত্তায় অবহেলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. শামসুল আরেফিন খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা শ্রমিকদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম, হেলমেট দিয়েছি। কিন্তু, বাংলাদেশে এসব ব্যবহার করে কাজ করার প্রচলন নেই।'

তিনি আরও বলেন, 'আজ শার্টার পড়ে একজন শ্রমিক মারা গেছেন। আমরা তার পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিবো, যাতে কোনো ঝামেলা না হয়।'

Comments

The Daily Star  | English
rise of foreign investment in Bangladesh

Bangladesh draws growing attention of foreign investors

Says Uber official in an interview with The Daily Star

12h ago