১৭ ঘণ্টা পরে চট্টগ্রামে খোলা ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ শিশু
রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন রঙ্গীপাড়া এলাকায় সড়কের পাশে এই খোলা ড্রেনে পড়ে দেড় বছর বয়সী শিশু ইয়াসিন আরাফাত নিখোঁজ হয়। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন রঙ্গীপাড়া এলাকায় সড়কের পাশে খোলা ড্রেনে পড়ে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পরে দেড় বছর বয়সী শিশু মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের সহকারী উপপরিচালক (ডিএডি) আব্দুর রাজ্জাক দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আজ সকাল আনুমানিক ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ইয়াসিন আরাফাতের মরদেহ পাওয়া যায়।

গতকাল বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে ইয়াসিন নিখোঁজ হওয়ার পরে ফায়ার সার্ভিস ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরিবারের আশঙ্কা ছিল, ইয়াসিন খেলতে খেলতে ড্রেনে পড়ে যেতে পারে।

সে সময় ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছিল, 'ড্রেনটি প্লাস্টিক ও পলিথিনের আবর্জনায় পূর্ণ থাকায় উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছে।'

রাত ১১টার দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। তবে তখনো নিখোঁজ ছিল ইয়াসিন।

খোলা ড্রেনে পড়ে যাওয়ার ঘটনা বন্দরনগরীতে নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছর ধরে নগরীর খোলা ড্রেন ও অরক্ষিত খালে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, শহরে মোট ১৬১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৫৬টি খাল এবং ৭৬৫ কিলোমিটার ড্রেন আছে।

চসিক কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালে নগরীর ড্রেন, খাল ও ফুটপাথের ঝুঁকিপূর্ণ স্পটগুলোর ওপর একটি জরিপ চালায়। জরিপের পর মোট ৫ হাজার ৫২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ স্পট চিহ্নিত করা হয়। এগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ছিল ১৯ কিলোমিটার।

কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রতিরক্ষামূলক কাজের গতি খুবই মন্থর বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

যোগাযোগ করা হলে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খোলা ড্রেনে স্ল্যাব স্থাপন এবং খালের পাশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের কাজ চলমান। ইতোমধ্যে ৩০ হাজার বর্গফুট ড্রেনে স্ল্যাব বসানো হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ খালের ১৮ হাজার বর্গফুট জায়গায় প্রতিরক্ষা দেওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে।'

তবে চকবাজার, চরশ্বরী রোড, রাহাত্তার পুল ও কেবি আমান আলী রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ড্রেন ও খালগুলো খোলা ও অরক্ষিত অবস্থায় আছে যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago