‘ভাবিও নাই এ ঘটনার পর বেঁচে ফিরব’
'ডুবন্ত অবস্থায় কেউ একজন আমার পা থেকে একটি জুতা খুলে ফেলে। আমি তখন পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছি। এর মধ্যে আরেকজন এসে আমার আরেক পা ধরে টান দিয়ে উপরে তুলে ফেলে। উপরে উঠে কিছু একটা ধরে ভাসছিলাম। এর মধ্যে বেশ খানিকটা সময় পার হয়ে গেছে। তারপর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা এসে আমাকে উদ্ধার করে,' বলেন সামিয়া আক্তার।
১৭ বছর বয়সী সামিয়া বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাস থেকে বেঁচে ফিরে দ্য ডেইলি স্টারকে তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
সামিয়া এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। মুসলিমনগর বালুরমাঠ এলাকায় তার বাসা। বাবার নাম নূর আলম মুনশি, কেরানীগঞ্জে তার ছোট একটা পাঞ্জাবির দোকান আছে।
সামিয়া আরও বলেন, 'আমি ভাবিও নাই এ ঘটনার পর বেঁচে ফিরব।'
তিনি বলেন, 'বাংলা বাজার থেকে বই কিনে ফেরার পথে নৌকায় উঠতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সাঁতার না জানার কারণে শেষ পর্যন্ত ওয়াটার বাসে উঠি। যে ভয়টা পাইছিলাম, সেই ঘটনাই ঘটেছে।'
সামিয়ার মা খাদিজা বেগম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সামিয়ারা ৩ ভাই এক বোন। বাবার আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো না। তাই মেয়ের লেখাপড়া শিখে অনেক বড় হওয়ার ইচ্ছা। সে ৩টা টিউশনি করে নিজের খরচ চালায়। এবার নূর মোহাম্মদ হাই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এখনো পরীক্ষার রেজাল্ট না হলেও পড়ালেখা এগিয়ে নিতে বাংলাবাজারে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজির বই কিনতে যায় সামিয়া।'
Comments