৪ লাখ লিটার পেট্রলসহ ‘সাগর নন্দিনী-২’ জাহাজে আবার আগুন

সুগন্ধা নদীতে তেলভর্তি 'সাগর নন্দিনী-২' জাহাজে আগুন। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলভর্তি 'সাগর নন্দিনী-২' জাহাজে আবারও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জাহাজটিতে ৪ লাখ লিটার পেট্রল মজুত ছিল।

আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

বিআইডব্লিউটিএ'র যুগ্ম-পরিচালক (নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন) মো. সেলিম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন আহত হলেও, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

১১ লাখ লিটার ডিজেল ও পেট্রল নিয়ে 'সাগর নন্দিনী-২' জাহাজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে ঝালকাঠি এসে পৌঁছায়। শনিবার দুপুরে জাহাজে বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত হয়েছেন এবং ৪ জন আহত হয়েছেন।

মো. সেলিম বলেন, 'জাহাজটি থেকে আজ সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত ৭ লাখ লিটার ডিজেল বের করা হয়। এরপর মজুত ছিল ৪ লাখ লিটার পেট্রল। এ অবস্থায় এটি বিস্ফোরিত হলো।'

'আমি বিস্ফোরণের সময় জাহাজের ২০০ মিটারের মধ্যেই ছিলাম। কোনোভাবে সেখান থেকে রক্ষা পেয়েছি,' বলেন তিনি। 

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'বিস্ফোরণে মজুতকৃত পেট্রলে আগুন ধরেছে কি না, তা নিশ্চিত নই। এখন তাৎক্ষনিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।' 

এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ঝালকাঠি জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

শনিবার বিস্ফোরণের পর জাহাজটিতে উদ্ধার অভিযান চলছিল। এ অবস্থায় আজ সন্ধ্যার বিস্ফোরণে নৌ ও স্থানীয় থানার বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মইনুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলা পুলিশের ৬ জন ও নৌ পুলিশের ৩ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭ জনকে ঝালকাঠি জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পুলিশ হাসপাতালে ও গুরুতর ২ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'

ঝালকাঠি ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানান, সন্ধ্যার বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ১ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

পদ্মা অয়েল কো. ঝালকাঠির ডিপো ইনচার্জ হোসেন আহম্মেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটির মালিকপক্ষ জাহাজটিতে মেরামত কাজ করতেছিল। এ সময় বিস্ফোরণ ঘটে।

এর আগে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর একই জাহাজ তেলসহ ভোলার মেঘনা নদীতে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ডুবে গিয়েছিল।

 

Comments

The Daily Star  | English

Leading univs withdrawing from cluster system

Session delays, irregularities, and lack of central planning cited as reasons

10h ago