অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিকাণ্ড: নিহত সবাই একই পরিবারের, মারা গেলেন চালকও

ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য।

এদিকে বিকেলে অ্যাম্বুলেন্সটির চালকও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ফলে ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ জনে।

নিহতরা হলেন-বোয়ালমারীর গুনবাহা ইউনিয়নের ফেলানগর গ্রামের আজিজারের স্ত্রী তসলিমা বেগম (৫০), তার মেয়ে ও বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নে মাইট কুমঢ়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর খানের স্ত্রী কমলা (৩০), কমলার ৩ সন্তান আরিফ (১২), হাসিব(১০), ও আফসা (১), কমলার ছোট বোন বিউটি (২৬) ও বিউটির ছেলে মেহেদী(১০)। নিহত চালকের নাম মৃদুল মালো (৪১)।   

নিহত কমলার স্বামী আলমগীর খানের ভাই সিদ্দিক খান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আলমগীর সপরিবারে ঢাকায় থাকেন। তসলিমা বেগম অসুস্থ ছিলেন। ১ মাস আগে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে ফরিদপুরে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তারা। তসলিমা বেগম অসুস্থ থাকায় অ্যাম্বুলেন্স নেওয়া হয়।

শিবচর হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আজ শনিবার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার কদমতলী থেকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে যাচ্ছিল।সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মালিগ্রাম এলাকায় পৌঁছলে এর সামনের বাম দিকের চাকা ফেটে যায় এবং অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশটি ফ্লাইওভারের রেলিংয়ে গিয়ে লাগে। এতে সঙ্গে সঙ্গে এতে আগুন ধরে যায়।

তিনি আরও জানান, অ্যাম্বুলেন্সটির ভেতর থাকা ৭ জন আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। চালক মৃদুল মালোকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, অ্যাম্বুলেন্সটির চালককে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলে তিনি বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবু জাফর বলেন, `খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আনুমানিক ৩০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। অ্যাম্বুলেন্সটির ভেতরে থাকা ৭ জনের শরীরের সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। অ্যাম্বুলেন্সটির পেছনের দিকের ডান পাশের চাকা ফেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।'

এদিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার এবং পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপেক্ষা করছেন। সেখানে নিহতের স্বজনরা এলে তাদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান তালুকদার জানান, এ ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মরদেহ নেওয়া এবং পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেকের জন্য ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Jubo Dal leader dies in custody after 'jt forces picked him up'

The body of Touhidul Islam, 42, bore marks of trauma and injuries from his waist to the knees, family members said, alleging that he was tortured to death

1h ago