কুমিল্লায় ট্রেন দুর্ঘটনা

সোনার বাংলা এক্সপ্রেস উদ্ধার, চলছে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামতের কাজ

রেল কর্তৃপক্ষ সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ঈদযাত্রা বাতিল করেছে।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন
গত রোববার দুর্ঘটনায় পড়ে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ছবি: সংগৃহীত

দুর্ঘটনা কবলিত সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ৭টি কোচ উদ্ধার করে মেরামতের জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন মেরামত শেষে ঢাকা-চট্টগ্রামের আপ লাইনটি চালু করা হবে।

আজ সোমবার কুমিল্লার রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী খান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজ দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম আপ লাইনটিও চালু হতে পারে।

'দুর্ঘটনা কবলিত সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ৭ কোচ উদ্ধার করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গতরাতে এর ইঞ্জিন উদ্ধার করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রেল কর্তৃপক্ষ সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ঈদযাত্রা বাতিল করেছে বলেও জানান তিনি।

গতকাল প্রায় আড়াই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ার পর রাত ১১টার দিকে ঢাকা চট্টগ্রাম ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় ঢাকা ও সিলেটের সঙ্গে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও নোয়াখালীর ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের সঙ্গে আন্তঃনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

গতরাতে রেলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, রেলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ট্রাফিক কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।

ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানতে ইতোমধ্যে তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনাটি কারো কর্তব্য অবহেলায় না সিগন্যাল সমস্যায় নাকি যান্ত্রিক কারণে সংঘটিত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যায়।

গতকাল কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কন্টেইনারবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন ও ৭টি কোচ লাইনচ্যুত হয়। আহত হন অন্তত ৩০ জন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Thousands suffer as flood persists in Sylhet; over 16,000 in shelters

While the flood situation in Sylhet had improved recently, incessant rain since Monday has caused flooding to recur, submerging the majority of the areas that had previously receded

11m ago