কুমিল্লায় ট্রেন দুর্ঘটনা: যা জানালেন আহত পুলিশ ও রেলকর্মী
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আজ রোববার সন্ধ্যায় একটি কনটেইনারবাহী মেইল ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন।
এ দুর্ঘটনায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও ৭টি কোচ লাইনচ্যুত হয়। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে দায়িত্বরত রেল পুলিশের এএসআই তানভীর ও ট্রেনের সার্ভিস স্টাফ সাইদুর রহমান। তারা জানান, ইফতারের পরপর হঠাৎ করেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ কর্মকর্তা তানভীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ট্রেনে আমরা ইফতার করছিলাম। ইফতার শেষ করার পরপর একটা আওয়াজ পেলাম। ট্রেনের ধাক্কার আওয়াজ। বোঝা গেল ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।'
'এর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে দুমড়ে-মুচড়ে গাড়িটি উল্টে গেল। আমরা ছিলাম সামনে। মনে হলো আমরা একদম একটা গর্তে ঢুকে যাচ্ছি,' বলেন তিনি।
রেলের শীর্ষ এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাসানপুর স্টেশনে পয়েন্টিং ভুলের কারণে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস মূল লাইন দিয়ে না গিয়ে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। তখন লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কনটেইনারবাহী ট্রেনটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় এটি।'
সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের সার্ভিস স্টাফ সাইদুর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইফতার শেষ করার পর হুট করে কিছু বুঝলাম না, মনে হলো সবকিছু ভেঙেচুরে আমাদের মাথার উপরে পড়তেছে। আর আমরা মনে হলো উপরের দিকে উঠে চলে যাচ্ছি। পরে বুঝলাম যে ইঞ্জিন কোথাও ধাক্কা খেয়েছে।'
লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চৌধুরী স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ডেইলি স্টারকে জানান, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাঙ্গলকোট হাসানপুর স্টেশনে পৌঁছালে স্টেশন এলাকাতেই লাইনচ্যুত হয়। আহতদের বেশিরভাগই মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। গুরুতর আহত ৫ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের আগামীকাল সোমবারের ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রিপ বাতিল করেছে রেলওয়ে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের সোমবারের যাত্রীরা ১৯ এপ্রিল বিশেষ ট্রেনে যেতে পারবেন। ১৯ এপ্রিল সকাল ৮টায় বিশেষ ট্রেনটি কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাবে।
দুর্ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে।
Comments