আমি এখানে মাঝেমধ্যে বাজার করি: বঙ্গবাজারে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবাজারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবাজারের আগুনে যে ৫-৬ হাজার লোকের দোকান গেছে, তাদের প্রত্যেকটা দোকানে ৬ জন করে হলেও মোট ৩৬ হাজার লোক চাকরি হারাল। এর সঙ্গে প্রত্যেকের পরিবার আছে। সবমিলিয়ে নির্ঘাত ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবাজারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ঈদের আগে... আমি তো এখানে মাঝেমধ্যে বাজার করি, সেজন্যে আমি জানি। এখানে আমরা সস্তায় জিনিস কিনতে পারি। অনেক দোকানে আমরা যে দামে জিনিস কিনি, এখানে তার ৫ গুণ কম দাম। এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। ঈদের আগে বেশি কেনাবেচা হয়। দ্বিতীয়ত ৫-৬ হাজার লোক, যাদের দোকান গেছে, তাদের সঙ্গে যদি প্রত্যেকটা দেকানে ৬ জন করে হলেও ৩৬ হাজার লোক তাদের চাকরি হারাল। এর সঙ্গে প্রত্যেকের পরিবার আছে। নির্ঘাত ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।'

'এখন এটা বুঝতে হবে, কেন এমন হয়। আর ফায়ার ব্রিগেডের লোকজন যেন সহজে পানি পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আগে আমাদের শহরগুলোতে পুকুর ছিল, সহজে পানি পাওয়া যেত। রাস্তাগুলোতে অত লোক ছিল না, সহজে যাওয়া যেত। এখন তো রাস্তায় ভিড় থাকে। আর পুকুর-টুকুর তো আমরা খেয়ে ফেলেছি। সেজন্য আগামীতে হয়তো… বিদেশে যেটা করে হাইড্রান্ট... সব জায়গায় পানির ব্যবস্থা। এটা হয়তো আমাদের বড় একটা পরিকল্পনা নিতে হবে। যাতে দুর্ঘটনা হলে সঙ্গে সঙ্গেই পানি পাওয়া যায়। তাতে হয়তো ক্ষয়ক্ষতি কমে আসবে', বলেন তিনি।

এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, 'তবে সবচেয়ে জরুরি হলো, এদেশের সব জনগণকে সচেতন করা, যেন আগুন না লাগে। হয়তো কেউ সিগারেট খেয়ে ফেলে দিলো বা কোথাও কোনো আগুন, সেটা কেউ দেখে নাই নিভল কি না... কনফার্ম করার পর সেই জায়গা ছাড়া। এই অভ্যাসটা গড়ে তুলতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Former president Hamid airport CCTV footage

The story of Hamid’s exit

Security footage obtained and analysed by The Daily Star shows that Hamid's car reached the barrier gate of the VIP terminal at 12:46am on May 8

13h ago