মধ্যরাতে শিবপুরে আ. লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে আগুন, পুড়ে গেছে আসবাবপত্র

মধ্যরাতে শিবপুরে আ. লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে আগুন, পুড়ে গেছে আসবাবপত্র
রাত ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদী শিবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, আজ বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই কার্যালয়ে আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনের প্রচেষ্টায় নিভিয়ে ফেলা হয়। তবে, প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত জানা যায়নি।

শিবপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক হেলাল উদ্দিন বলেন, 'আমরা রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। আমাদের একটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। ওই কার্যালয়ের ভেতরে থাকা বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে, তবে তদন্ত ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের সূত্রপাত বলা কঠিন।'

সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহনের ভাই ও জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জুনায়েদ হক জুনু বলেন, 'শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় না থাকায় আমার ভাইসহ আমরা সদর রোডের ওই কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু আজ গভীর রাতে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে তা পুড়িয়ে ফেলেছে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে প্রায় ঘণ্টাখানেক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও এসেছেন। কার্যালয়ে পাশে বস্তি এলাকা হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারতো। তবে, এ ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। কার্যালয়ের পাশে সিসিটিভি না থাকায় অপরাধীদের শনাক্ত করা কঠিন।'

তিনি আরও বলেন, 'আমার ধারণা শিবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদের উপর হামলার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তৃতীয় পক্ষ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, 'আমরা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আগুনের কীভাবে সূত্রপাত হয়েছে বলা কঠিন। আমরা তদন্ত ছাড়া আগুন লাগার কারণ বলতে পারবো না। এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তদন্তের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago