জানুয়ারি-অক্টোবর: মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ২১.১৭ শতাংশ

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ২১ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ১৯ দশমিক ২৮ শতাংশ।

সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংগঠনটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ২ হাজার ৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৯৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৮৬ জন।

গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ৬৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৭৫৮ জন প্রাণ হারান

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মনে করে, কিশোর-যুবকদের বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানো; অতি উচ্চগতির মোটরসাইকেল ক্রয়ে সহজলভ্যতা; ট্রাফিক আইন সম্পর্কে চালকদের অজ্ঞতা ও আইন ভাঙার সংস্কৃতি; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে শিথিলতা ও বাস-ট্রাক-পিকআপ-প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-সহ দ্রুতগতির যানবাহনের বেপরোয়া গতি; চালকদের অদক্ষতা ও অস্থিরতা; ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নসিমন-ভটভটির মতো স্বল্পগতির যানবাহন অদক্ষ হাতে চালানো; সড়ক-মহাসড়কে ডিভাইডার না থাকা; কিশোর-যুবকদের আকৃষ্ট করতে দ্রুত গতির মোটরসাইকেলের বিজ্ঞাপন; সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা না থাকা; পারিবারিকভাবে সন্তানদের বেপরোয়া আচরণকে প্রশ্রয় দেওয়া এবং রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় কিশোর-যুবকদের মধ্যে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর সংস্কৃতি গড়ে ওঠা এসব দুর্ঘটনা বৃদ্ধির প্রধান কারণ। 

প্রতিবেদনে সংগঠনটি মোট ১৩টি সুপারিশ করেছে। সেগুলো হলো—কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো বন্ধে কঠোর উদ্যোগ গ্রহণ; মাত্রাতিরিক্ত গতিসম্পন্ন মোটরসাইকেল বিক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি; গণপরিবহন চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্টকরণ; বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি; ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ; মোটরসাইকেল ও স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য মহাসড়কে সার্ভিস রোড নির্মাণ; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ; যানবাহনের গতি মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির ব্যবহার; গণপরিবহন উন্নত ও সহজলভ্য করে মোটরসাইকেল নিরুৎসাহিতকরণ; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার এবং সড়ক পথ থেকে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের মতো পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমানো; সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো এবং সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus urges patience, promises polls roadmap soon after electoral reforms

He said the election train has started its journey and will not stop

19m ago