মানিকগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ: ১ জনের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক ২
মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় দগ্ধ আরও ২ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম রাশেদুল ইসলাম (৪৫)। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০) ও আড়াই বছর বয়সী ছেলে রিফাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার।
বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, 'দগ্ধ ৪ জনের মধ্যে ১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে পরিবারের কাছ থেকে জানতে পেরেছি।'
পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ পৌরসভাধীন নারাঙ্গাই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মাংসের ব্যবসা করেন রাশেদুল। এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকেন। গত সোমবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালা বন্ধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে রাশেদুল ও কর্মচারী ফারুক এবং অপর কক্ষে রাশেদুলের স্ত্রী ও শিশুসন্তান রিফাত ঘুমিয়ে পড়েন। এর আগে ভুলে রান্নাঘরে তিতাস গ্যাসের লাইন চালু রাখা হয়। গতকাল ভোর ৪টার দিকে রাশেদুল ঘুম থেকে উঠে সিগারেটে আগুন ধরানোর জন্য দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর পরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা (লিডার) বশির আহমেদ গতকাল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতে দরজা-জানালা বন্ধ করে গ্যাসের লাইন চালু রাখা হয়েছে। সেই কারণে আগুন জ্বালানোর পর বদ্ধ কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।'
বিস্ফোরণের ঘটনায় ফ্ল্যাটে থাকা ৪ জনই দগ্ধ হন। এর মধ্যে রাশেদুল, তার স্ত্রী ও সন্তানকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। আর ফারুককে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাশেদুলের বড় ভাই মো. রসুলদী আজ সকাল ৯টায় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গুরুতর দগ্ধ হওয়ায় আমার ছোট ভাই, তার স্ত্রী ও সন্তানকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল বিকেলে রাশেদুলকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোররাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। তার স্ত্রী ও সন্তানকেও ওই হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।'
Comments