‘মা আমার হাতের ওপর মারা গেছেন, বাঁচাতে পারলাম না’

কেন তারা মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে? বিআরটির গার্ডার দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া রিয়ার প্রশ্ন
ছবি: শাহীন মোল্লা

উত্তরায় গতকাল বিআরটির গার্ডার দুর্ঘটনায় নিজের মা'কে হারিয়ে শোকে বিহ্বল রিয়া মনি। তিনি ও তার স্বামী ওই প্রাইভেটেকারে ছিলেন। তবে, অল্পের জন্য তারা বেঁচে যান। ওই দুর্ঘটনায় নিজেদের ৫ স্বজনকে হারিয়েছেন এ দম্পতি। আজ তারা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে আসেন নিজের স্বজনদের শেষ দেখা দেখতে।

এসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে রিয়া মনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মা যখন পিষ্ট হয়ে মারা যান, তখন তিনি আমার হাতের ওপর ছিলেন। তিনি আমার চোখের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।'

তিনি বলেন, 'আমার মায়ের মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। তিনি আমার সঙ্গে শেষ কথাটিও বলতে পারলেন না।'

'আমি বেঁচে আছি কিন্তু আমার মাকে বাঁচাতে পারিনি। আমার ছোট ভাই কীভাবে মাকে ছাড়া বেঁচে থাকবে আমি জানি না,' বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রিয়া মনি।

গতকাল ঢাকার উত্তরা এলাকায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি বক্স গার্ডারের অংশ ক্রেন থেকে পড়ে রিয়ার মা ও তার চার আত্মীয় পিষ্ট হয়ে নিহত হন।

তিনি আরও বলেন, 'আমার চাচাতো ভাই চাচির কোলে ঘুমাচ্ছিল। ঘুমের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।'

তিনি প্রশ্ন করেন, 'কেন তারা মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে? আমরা সব হারিয়েছি। আমরা দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।'

গার্ডারের চাপায় প্রাইভেটকারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরে রিয়া মনি ও তার স্বামী রেজাউল করিম হৃদয়কে উদ্ধার করে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।

কিছুটা সুস্থ হয়ে আজ মর্গে গিয়ে শেষবারের মতো মৃত আত্মীয়-স্বজনকে দেখতে যান ওই দম্পতি।

এ সময় বাবা হারানো হৃদয় প্রশ্ন করেন, 'তাদের এই অবহেলার দায়িত্ব কে নেবে?'

তিনি বলেন, 'আমরা যথাযথ উদ্যোগ নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি। যেন আর কোনো পরিবার এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি না হয়।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

1h ago