শিগগির মুক্তি পাচ্ছেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা

দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ছবি: এএফপি
দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ছবি: এএফপি

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে শিগগির মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে থাই সরকার।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

প্রায় ছয় মাস আগে ১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফেরেন থাইল্যান্ডের সাবেক শাসক।

২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাকসিনকে উৎখাত করা হয়।

এ বছরের আগস্টে তাকে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকদিনের মাঝেই তার কারাদণ্ড কমিয়ে এক বছর করেন রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন।

আজ মঙ্গলবার বিচারমন্ত্রী তাউই সোদসং জানান, আরও ৯৩০ কারাবন্দি সহ ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল দলের সাবেক মালিক থাকসিনকে (৭৪) শিগগির মুক্তি দেওয়া হতে পারে।

বিচারমন্ত্রী তাউই সাংবাদিকদের বলেন, 'গুরুতর অসুস্থ বা ৭০ এর বেশি বয়সী বয়সীদের কারাবরণের ছয় মাসের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়। থাকসিনও তাদের একজন'।

থাইল্যান্ডের গণমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার থেকে শুরু করে যেকোনো দিন তিনি মুক্তি পেতে পারেন।

তার দল ফেউ থাই পার্টি সামরিক-বাহিনীপন্থি দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়ে ক্ষমতায় ফেরার পর তিনি দেশে ফিরেন। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, নেপথ্যে তার কারাদণ্ড কমানোর কোনো চুক্তি হয়ে থাকতে পারে।

আগস্টে কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অসুস্থতার জেরে তাকে পুলিশের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। খুব সম্ভবত তাকে কারাগারে যেতেই হয়নি।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে থাকসিন উচ্চ রক্তচাপে ও বক্ষ্যব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তী মাসগুলোতে তার পরিবারের সদস্যরা জানান, দুইটি অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে গেছেন তিনি।

থাইল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অন্যতম থাকসিন। টেলিকম ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে তিনি ধনাঢ্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।

থাইল্যান্ডের গ্রামগুলোতে লাখো মানুষের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় থাকসিন। ২০০০ সালের দিকে তিনি কিছু জনপ্রিয় সংস্কার নীতিমালা প্রণয়ন করেন, যা তাকে জনপ্রিয় করে তোলে।

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

4h ago