ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শ্রীলঙ্কা, ১১ মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি ৬৯.৮ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ

কলম্বোর সমুদ্র বন্দর শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ছবি: রয়টার্স
কলম্বোর সমুদ্র বন্দর শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ছবি: রয়টার্স

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। আগস্টে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ৪ শতাংশে নেমে এসেছে।  

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।

গত বছর থেকে শুরু হওয়া নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে এটাই শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতির সর্বনিম্ন হার। আজ আনুষ্ঠানিক তথ্যে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ আশঙ্কাজনক পর্যায়ে নেমে আসলে দেশটিতে বেশ কয়েক মাস ধরে খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে যায় আর জনমানুষের ওপর নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। এক পর্যায়ে বিক্ষোভের মাধ্যমে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে উৎখাত করা হয়।

নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি।

২০২২ এর সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে এ বছরের জুলাইয়ের ৬ দশমিক ৩ শতাংশে এসে দাঁড়ায় মূল্যস্ফীতির হার। আগস্টে তা কমে ৪ শতাংশ হল।

শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশাবাদ প্রকাশ করেছে, আরও বেশ কয়েক মাস মূল্যস্ফীতির এই নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে।

দেশটি গত বছর ৪৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশী ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে 'দেউলিয়া' হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) কাছ থেকে মার্চে ৪ বছর মেয়াদি ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট প্যাকেজ পায় দেশটি।

এ মাসেই আইএমএফের একটি দল শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম নিরীক্ষা করতে আসবে। তাদের সফরের ওপর নির্ভর করবে ৩৩০ মিলিয়ন ডলারের পরবর্তী কিস্তি পাওয়ার বিষয়টি।

আইএমএফ সম্প্রতি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখালেও দেশটিকে আরও কিছু কষ্টদায়ক সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

গোতাবায়াকে উৎখাতের পর তার উত্তরসূরি রনিল বিক্রমাসিংহে দ্বিগুণ হারে কর আরোপ করেছেন, জ্বালানি খাত থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় রাজস্ব বাড়াতে কয়েক দফায় জ্বালানির দাম বাড়িয়েছেন।

আজ শুক্রবার থেকে নতুন করে সরকার পেট্রল ও ডিজেলের দাম ১১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago