পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জেনারেল আসিম মুনির

পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। ছবি: এপি
পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। ছবি: এপি

বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন জেনারেল আসিম মুনির।  

আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। 

রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেনারেল বাজওয়া নতুন সেনাপ্রধান মুনিরের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতার ব্যাটন তুলে দেন। এর মাধ্যমে অবসান হয় সেনাপ্রধান হিসেবে তার ৬ বছরের মেয়াদের।

গত সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জেনারেল বাজওয়ার উত্তরসূরি হিসেবে জেনারেল মুনিরকে নির্বাচন করেন। এই ঘোষণায় বেশ কয়েক সপ্তাহের জল্পনা-কল্পনার অবসান হয়।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৭ তম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জেনারেল মুনির।

এই অনুষ্ঠানের আগে সাবেক ও বর্তমান সেনাপ্রধান সেনা সদরদপ্তরে অবস্থিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং সুরা ফাতিহা পাঠ করেন।

স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

জেনারেল বাজওয়া তার বিদায়ী বক্তব্যে জানান, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি তার উত্তরসূরিকে অভিনন্দন জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, তার নিয়োগে দেশ ও সেনাবাহিনীর আরও উন্নতি হবে।

সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে বৈঠকে আসিম মুনির। ছবি: এপি
সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে বৈঠকে আসিম মুনির। ছবি: এপি

তিনি আরও জানান, জেনারেল মুনিরের সঙ্গে তার পরিচয় আরও ২৪ বছর আগে থেকে।

মুনিরের বিষয়ে তিনি বলেন, 'কুরআনে হাফিজ হওয়ার পাশাপাশি, তিনি একজন পেশাদার, দক্ষ ও নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল কর্মকর্তা। আমি নিশ্চিত, তার নেতৃত্বে সেনাবাহিনী সাফল্যের নতুন চূড়ায় পৌঁছাবে'।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, জেনারেল মুনিরের নিয়োগ দেশ ও দেশের সেনাবাহিনীর জন্য ইতিবাচক ফল আনবে। তিনি জানান, তিনি দেশের একজন 'দক্ষ ও সক্ষম সন্তানের' কাছে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago