‘ইমরান খান ২-৩ দিনের মধ্যে রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন’

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান লাহোরের শওকত খানুম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ ইমরান খান আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের নেতা হাম্মাদ আজহার।
ইমরান খান
লাহোরের শওকত খানুম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইমরান খান। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান লাহোরের শওকত খানুম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ ইমরান খান আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের নেতা হাম্মাদ আজহার।

আজ রোববার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

লাহোরের শওকত খানুম হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকে হাম্মাদ আজহার বলেন, ইমরান খানের হত্যাচেষ্টার বিরুদ্ধে পিটিআই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে।

ইমরান খানকে গুলি করা ব্যক্তিকে 'ধর্মীয় উগ্রবাদী' হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে দলের নেতারা গণমাধ্যমে পরে কথা বলবেন।

গত ৩ নভেম্বর পাঞ্জাবের ওয়াজিরবাদে রাজধানী ইসলামাবাদমুখী পিটিআইয়ের লংমার্চে গুলিতে আহত হন ইমরান খান।

সেসময় গুলিতে নিহত মোয়াজ্জেম গন্ডলের পরিবারকে মোট দেড় কোটি রুপি দেওয়া হবে বলেও জানান হাম্মাদ আজহার।

তিনি আরও জানান, পিটিআই ইতোমধ্যে নিহত মোয়াজ্জেমের পরিবারকে ৫০ লাখ রুপি দিয়েছে। পাঞ্জাব রাজ্য সরকার আগামী দুই-একদিনের মধ্যে সেই পরিবারকে আরও ৫০ লাখ রুপি দেবে।

পিটিআই মোয়াজ্জেমের সন্তানদের যাবতীয় খরচ বহন করবে বলেও আজহার জানিয়েছেন।

ইমরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

গতকাল শনিবার পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানায়, ইমরান খানের হত্যাচেষ্টায় সশস্ত্র বাহিনীর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পিটিআই প্রধান ও সেই দলের অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

লাহোরে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের এক বৈঠক শেষে দেওয়া বার্তায় বলা হয়, 'রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করায় কেন্দ্রীয় সরকার পিটিআই নেতা ইমরান খান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।'

হত্যাচেষ্টার কথা ইমরান জানতেন

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমরান খান গণমাধ্যমের মাধ্যমে তার অনুসারীদের বলেন, তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে—এমন তথ্য আগেই জেনেছেন।

ওয়াজিরবাদ ও গুজরাতের মাঝখানে যেকোনো স্থানে এই বিপদ আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

ইমরানের অভিযোগ, তার লংমার্চে বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সেনাবাহিনীর এক মেজর মিলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।

Comments