দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান বৈঠকের আগে উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা
উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব উপকূল থেকে ১টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আজ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নেতারা লিথুয়ানিয়া অনুষ্ঠানরত ন্যাটো সম্মেলনের সাইডলাইনে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বৈঠক করার আগে এই পরীক্ষা চালাল পিয়ংইয়ং।
আজ বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়া অভিযোগ করেছে, মার্কিন গোয়েন্দা বিমান তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। তারা একইসঙ্গে একটি পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী মার্কিন ডুবোজাহাজের দক্ষিণ কোরিয়া পরিদর্শনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানায়।
জাপানের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্রটি সকালে সাগরে আঘাত হেনেছে। আগের পূর্বাভাষ অনুযায়ী ধারণা করা হয়েছিল এটি কোরীয় উপদ্বীপের ৫৫০ কিলোমিটার পূর্বে নিক্ষিপ্ত হবে।
জাপানের টিভি চ্যানেল আসাহি জাপানের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় ৭৪ মিনিট চলে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। যার ফলে এটাই উত্তর কোরিয়ার কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের দীর্ঘতম যাত্রা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
আজ বুধবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বৈঠকে বসবেন। জাপানের মন্ত্রীসভার প্রধান সচিব হিরোকাজু মাতসুনো জানান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে একটি সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মাতসুনো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে প্রতিক্রিয়া জানাবো।'
তিনি জানান, এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনাটি এ অঞ্চল ও সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি এবং জাপান বেইজিং এর কূটনীতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এ বছর উত্তর কোরিয়া প্রথম বারের মতো কঠিন জ্বালানিতে চালিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে। এছাড়াও তারা মহাকাশে একটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পাঠানোর চেষ্টা চালায়, যা ব্যর্থ হয়।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র ও স্যাটেলাইট ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা না মানার কারণে নিরাপত্তা কাউন্সিল ও একাধিক সদস্য দেশ উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
Comments