এবার কামানের গোলা ছুঁড়ে সিউলকে সতর্ক করলো পিয়ংইয়ং

উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার দিনের শেষভাগে পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে ২৫০টি গোলাবর্ষণ করে এবং আজ বুধবার দুপুরের দিকে আরও ১০০টি গোলাবর্ষণ করে। ছবি: রয়টার্স
উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার দিনের শেষভাগে পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে ২৫০টি গোলাবর্ষণ করে এবং আজ বুধবার দুপুরের দিকে আরও ১০০টি গোলাবর্ষণ করে। ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়া বড় আকারে প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করার পর উত্তর কোরিয়া ২ দেশের সীমান্তের কাছাকাছি পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে ৩৫০ রাউন্ড কামানের গোলা ছুঁড়েছে।

আজ বুধবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

দক্ষিণ কোরিয়া পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক হামলার হুমকির বিপরীতে তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা যাচাই করার জন্য বার্ষিক মহড়া শুরুর পর পিয়ংইয়ং এই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) জানায়, উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার দিনের শেষভাগে পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে ২৫০টি গোলাবর্ষণ করে এবং আজ বুধবার দুপুরের দিকে আরও ১০০টি গোলাবর্ষণ করে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্র সীমায় গোলাগুলো আঘাত না করলেও এগুলো ২০১৮ সালের আন্ত-কোরীয় চুক্তির মাধ্যমে স্থাপিত 'বাফার জোনে' আঘাত করে। ২ দেশের সমুদ্রসীমায় সরাসরি আগ্রাসন ঠেকাতে এই নিরপেক্ষ অঞ্চলটি চিহ্নিত করা হয়েছিল।

গত শুক্রবারেও এই বাফার জোনে উত্তর কোরিয়া গোলাবর্ষণ করেছিল, যা ২০১৮ সালের চুক্তির লঙ্ঘন।

এক বিবৃতিতে জেসিএস জানায়, 'আমরা উত্তর কোরিয়াকে এই উদ্যোগ বন্ধ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।'

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'উত্তর কোরিয়ার নিরবচ্ছিন্ন উসকানিমূলক উদ্যোগ কোরীয় উপদ্বীপ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি অবমাননাকর।'

উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আজ বুধবার জানান, এমনভাবে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে, যাতে এটি মঙ্গলবারে দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় সংঘটিত কামান মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় একটি 'গুরুতর সতর্কবাণী' হিসেবে কাজ করে। সিউল মঙ্গলবার এ ধরনের কোনো মহড়ার কথা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করেনি।

গত কয়েক সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি স্বল্প ও দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

10h ago