ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দাম ৩২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দাম ১৪৭ দশমিক ৬৬ হয়েছে, যা গত ৩২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
আজ শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
জাপানের অর্থমন্ত্রী শুনিচি সুজুকি গণমাধ্যমকে জানান, জাপানি মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষায় সরকার 'উপযুক্ত ব্যবস্থা' নেবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে জাপান সরকার বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে ২০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে, যা খুবই দুর্লভ উদ্যোগ।
অর্থমন্ত্রী সুজুকি জি৭ অর্থায়ন বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, 'মুদ্রা বাজারে গুজবের ভিত্তিতে এ ধরনের অস্থিতিশীলতা মেনে নিতে পারি না। মুদ্রার দরের ওঠানামা খুবই গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।'
গত মাসে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের মূল্য ২৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে আসার পর জাপান সরকার উদ্যোগ নেয়। এর আগে সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে জাপান সরকার মুদ্রা বাজারে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিল।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, 'এ ধরনের উদ্যোগে তেমন কোনো কাজ হবে না। কারণ, জাপানে সুদের হার যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম।'
গত কয়েক মাস ধরে জাপানের মুদ্রা ক্রমবর্ধমান চাপে রয়েছে। এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে ব্যাংক অব জাপান (বিওজে) ও মার্কিন কেন্দ্রীয় রিজার্ভের ভিন্ন দৃষ্টির কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার জানা গেছে, মূল্যস্ফীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপণ্যের দাম পূর্বাভাষের চেয়েও বেশি।
আগস্টের ৮ দশমিক ৪ শতাংশের তুলনায় সেপ্টেম্বরে কিছুটা কমে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশে।
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে জোরালোভাবে সুদের হার বাড়িয়েছে। অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বাড়লে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে, এই নীতিতে চলছে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ।
অপরদিকে, জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার খুবই কম রেখেছে। এ নীতি এ মুহূর্তে কোনো কাজে আসছে না বলেই মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক অর্থবাজারে ডলারের শক্তিমত্তার কারণে বিশ্বের অন্যান্য মুদ্রাও দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর মধ্যে আছে ব্রিটিশ পাউন্ড ও ইউরো রয়েছে।
Comments