কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আম আদমির গণ অনশন

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি: স্টেটসম্যান
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি: স্টেটসম্যান

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি দলের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দলটির নেতা-কর্মীরা আজ 'সাময়িক উপবাস' বা গণ-উপবাস কর্মসূচি পালন করছেন।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি। মদ বেচা-কেনার নীতিমালা নিয়ে এক দুর্নীতির মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এএপির নেতা গোপাল রাই বলেছেন, ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে কেজরিওয়ালের সমর্থকরা আজকের এই গণ-অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, 'মানুষ ঘরে বসেই এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাদের সমর্থন জানাতে পারেন।'

অপরদিকে এএপির সব আইনপ্রণেতা ও সরকারি কর্মকর্তারা যন্তর মন্তরে জমায়েত হয়ে গণ-অনশন পালন করবেন।

এর আগে, গত মাসে এএপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন ঘেরাও করার কর্মসূচির আহ্বান জানিয়েছিল। সে সময় নয়াদিল্লিতে এএপির অসংখ্য নেতা-কর্মীদের (নারীসহ) বল প্রয়োগ করে ও ঠেলা-ধাক্কা দিয়ে পুলিশের বাসে ওঠানো হয়। তাদেরকে বেশ কয়েকটি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এএপি এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তাদের দাবি, বিজেপি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেজরিওয়াল যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন, সে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এএপির মন্ত্রী অতিশি সিং ও সৌরভ ভরদ্বাজ জানান, মুখ্যমন্ত্রী ইডির লকআপ থেকেই রাজ্য পরিচালনার নির্দেশনা পাঠাচ্ছেন। তারা দিল্লির বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন, দিল্লির মানুষকে কীভাবে ভালো রাখা যায়, সেটা নিয়েই সারাক্ষণ ভাবেন কেজরিওয়াল।

কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিরোধী দলের জোট 'ইন্ডিয়া' আবার নতুন করে সংগঠিত হয়েছে।

গত রোববার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ইন্ডিয়া জোট একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করে। এই মহাসমাবেশে নেতারা দাবি করেন, মোদির দল বিজেপি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগগুলোর সহায়তায় বিরোধীদলগুলোকে ধ্বংস করতে চাইছে।

কেজরিওয়ালকে ২১ মার্চ গ্রেপ্তার করা হলেও তিনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কারা-হেফাজতে বসেই দিল্লির সরকার চালাচ্ছেন।

এই কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, এএপির এই নেতা একজন 'ষড়যন্ত্রকারী'। ইডি বিশ্বাস করে, এই বাতিল হওয়া নীতিমালাকে কাজে লাগিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু মদ বিক্রেতা উচ্চ মুনাফা অর্জন করছিলেন এবং এই সুবিধা পেতে এএপিকে ঘুষ দেওয়া হয়। ইডি আরও ধারণা করছে, এই ঘুষের টাকা এএপির নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করা হয়েছে।

এই অভিযোগের সূত্রে কেজরিওয়ালের পাশাপাশি এএপির নেতা মনিষ সিসোদিয়া ও সঞ্জয় সিং এবং ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেতা কে কাভিথাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিরোধীদলের নেতারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি সংস্থাকে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন। 

Comments

The Daily Star  | English

20 non-banks on BB red list

As of December last year, they disbursed Tk 25,808 crore in loans against collateral worth Tk 6,899 crore, according to the BB report

10h ago