চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যা

চলছে বিক্ষোভ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে রোগী দেখবেন এইমস চিকিৎসকেরা

আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ। ছবি: ডয়চে ভেলে
আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ। ছবি: ডয়চে ভেলে

কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদ চলছে গোটা ভারতজুড়ে। ভারতের একাধিক রাজ্যে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি বিভাগ চালু থাকলেও বহু সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আউটডোর বা বহির্বিভাগ বন্ধ।

এই পরিস্থিতিতে আজ সোমবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের (এইমস) চিকিৎসকরা।

দিল্লির সবচেয়ে বড় হাসপাতাল এইমসের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তারা বহির্বিভাগ বন্ধ করবেন না, কিন্তু তা চালানো হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাইরে।

রাত তিনটার সময়ও কলেজ স্ট্রিটে চলছিল 'রাত দখল' কর্মসূচি। ছবি: ডয়চে ভেলে
রাত তিনটার সময়ও কলেজ স্ট্রিটে চলছিল 'রাত দখল' কর্মসূচি। ছবি: ডয়চে ভেলে

সোমবার একটি বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন এইমসের চিকিৎসকরা।

তারা জানিয়েছেন, রাস্তায় দাঁড়িয়েই তারা রোগী দেখবেন। সোমবার থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হবে। তবে এই কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি দিল্লি পুলিশ।

গত সপ্তাহ থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। তবে জরুরি বিভাগে কাজ বন্ধ রাখা হয়নি।

চিকিৎসকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে বহির্বিভাগ চালানোর জন্য যা যা প্রয়োজন, সেই অবকাঠামো সরকারকেই তৈরি করে দিতে হবে।

এদিকে সোমবারেও কলকাতায় একাধিক কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। সোমবার রাখিবন্ধন উৎসব। সেই উৎসবকেও আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার ডাক দেওয়া হয়েছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হবে আন্দোলন। সাধারণ মানুষকেও সেই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিক্ষোভে যোগ দেন প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী মৌসুমী ভৌমিক। ছবি: ডয়চে ভেলে
বিক্ষোভে যোগ দেন প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী মৌসুমী ভৌমিক। ছবি: ডয়চে ভেলে

দিল্লির চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

আর জি করের ঘটনা তা আরো স্পষ্ট করে দিয়েছে। গোটা দেশেই স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা প্রয়োজন।

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh cement sector 2024 downturn

Cement sector struggles amid political, economic challenges

Cement sales in Bangladesh plunged in 2024 due to political instability, rising production costs, and the deferment of the implementation of government infrastructure projects, leaving the industry operating at less than half its capacity.

16h ago