এক মাস সীমান্তে বিক্ষোভের পর দিল্লিতে কৃষকদের ‘মহাপঞ্চায়েত’

কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত শুরু হয়েছে। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া স্ক্রিণশট
কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত শুরু হয়েছে। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া স্ক্রিণশট

দিল্লি সীমান্তে প্রায় এক মাসের মতো অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার পর অবশেষে ভারতের কৃষকরা আজ তাদের দাবির বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজধানী নয়াদিল্লিতে জমায়েত হওয়ার অনুমতি পেয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। 

দিল্লির পুলিশ কৃষকদের আজ রামলীলা মাঠে 'কিষাণ মজদুর মহাপঞ্চায়েত' আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে।

তবে এ ক্ষেত্রে কৃষকদের কিছু শর্ত দিয়েছে পুলিশ। বিক্ষোভে ট্রাক্টর বা ট্রলি আনা যাবে না, কোনো ধরনের পদযাত্রা (মার্চ) করা যাবে না এবং পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ জমায়েত হতে পারবেন না।

আজ ভারতের স্থানীয় সময় সকাল ১১ থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত এই মহাপঞ্চায়েত আয়োজিত হবে। এর উদ্দেশ্য, 'সরকারী নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম জোরদার করা'। মহাপঞ্চায়েতে ন্যুনতম মূল্য নিশ্চয়তা (এমএসপি) ও স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের মতো বিষয়গুলোতে জোর দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

আজকের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেবে কৃষকদের অরাজনৈতিক সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম)। এই সংগঠনটিই ২০২০-২১ সালে সর্বশেষ কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল।

এসকেএম জানিয়েছে, তারা এই বিক্ষোভে একটি 'সংকল্প পত্র' পাস করানোর পরিকল্পনা করছে। এতে কর্পোরেটপন্থী নীতিমালার বিরুদ্ধে কৌশল ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে। বিশেষত, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে উদ্যোগগুলো চূড়ান্ত করা হবে।

পুলিশ হুশিয়ারি দিয়েছে, দিল্লি ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের দেওয়া বিবৃতিতে সুনির্দিষ্ট এলাকাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাব রাজ্য থেকে কৃষকরা দিল্লি সীমান্তে এসে জমায়েত হয়। তারা রামলীলা ময়দানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন। তবে কৃষকদের সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং পুলিশ তাদেরকে পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে বাধা দেয়। জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস শেল ব্যবহার করে কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায় পুলিশ।

কৃষকরা তাদের ট্রলিতে করে কয়েক মাসের খাবার ও অন্যান্য নিত্যপণ্য নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিতে আসেন। তাদের সব দাবি মানা না পর্যন্ত ফিরে যাবেন না—এমনটাই বলছেন কৃষকরা। পুলিশ সড়কে পেরেক ও কংক্রিটের ব্লক বসিয়ে কৃষকদের ট্রাক্টর ও অন্যান্য বাহনকে দিল্লিতে প্রবেশ করতে দেয়নি।

১৮ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভরত কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব নাকচ করে।

সব উৎপাদিত পণ্যের জন্য ন্যুনতম মূল্য নিশ্চিত করার (এমএসপি) পাশাপাশি তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে কৃষি ঋণ মওকুফ করা ও স্বামীনাথন কমিটির সব সুপারিশের বাস্তবায়ন।

Comments

The Daily Star  | English

Govt to expedite hiring of 40,000 for public sector

The government has decided to expedite the recruitment of 6,000 doctors, 30,000 assistant primary teachers, and 3,500 nurses to urgently address the rising number of vacancies in key public sector positions.

7h ago