কাশ্মীরে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলসেতু

শিগগির বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু চেনাব ব্রিজের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ছবি: ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক টুইটার পেজ।
শিগগির বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু চেনাব ব্রিজের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ছবি: ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক টুইটার পেজ।

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলসেতু এখন ভারতে। জম্মু ও কাশ্মীরে চেনাব নদীর ওপর ১০৯ ফুট উঁচু রেলসেতুটি আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ১০ ফুটের চেয়েও বেশি উচ্চতায় নির্মাণ করা হয়েছে।

গত ২ দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্মাণ কাজ চলার পর অবশেষে এটি আগামী ডিসেম্বরে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হবে বলে ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

প্রায় ৪ হাজার ৩১৪ ফুট দীর্ঘ সেতুটি কাশ্মীর উপত্যকাকে ভারতের রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করার বৃহত্তর কর্মসূচির অংশ। চেনাব সেতুর পাশাপাশি উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিংক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশটির দীর্ঘতম পরিবহন সুড়ঙ্গ ও ভারতীয় রেলওয়ের প্রথম কেবল সেতু নির্মাণ হবে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, কাশ্মীরকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হলে এ অঞ্চলের শিল্প ও কৃষি খাতের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হবে।

এখন পর্যন্ত ভারতের দখলে থাকা কাশ্মীরের সঙ্গে দেশটির বাকি অংশের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ১৮৫ মাইল দীর্ঘ শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় মহাসড়ক। তবে বিপজ্জনক এ সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে এবং শীতকালের বেশিরভাগ সময় এটি বন্ধ থাকে।

ভারতের সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ সেন্টারের জ্যেষ্ঠ ফেলো সুশান্ত সিং গণমাধ্যমকে জানান, এই সেতুর রাজনৈতিক প্রভাবও আছে। কারণ একে 'কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে একীভূত করার' প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এই সেতু নির্মাণের 'ঐতিহাসিক প্রত্যাশা' ছিল চেনাব সেতুসহ কাশ্মীরের সঙ্গে যুক্ত সব ধরনের রেললিংক কাশ্মীরকে 'আরও বেশি করে ভারতের অংশ' হিসেবে দেখাবে।

তবে কাশ্মীরের বাসিন্দারা এ উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে নেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সুশান্ত সিং।

শিগগির বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু চেনাব ব্রিজের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ছবি: ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক টুইটার পেজ।
শিগগির বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু চেনাব ব্রিজের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ছবি: ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক টুইটার পেজ।

সম্প্রতি মোদি সরকারের কিছু নীতিমালা কাশ্মীরিদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১৯ সালে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাংবিধানিক অধিকার রদ করে মোদির সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরকে ২টিকে আলাদা প্রশাসনিক অঞ্চলে ভাগ করা হয়। এতে স্থিতিশীলতা আসবে, দুর্নীতি কমবে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

মোদি সরকার ক্ষমতা আসার আগেই, ২০০২ সালে এসব প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এগুলোর বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দেন।

ক্ষমতায় এসে উধামপুর-শ্রীনগর-বড়মুল্লা ও চেনাব সেতু প্রকল্পের বাজেট ৬ গুণ বাড়ান প্রধানমন্ত্রী মোদি।

Comments

The Daily Star  | English
probe committee for past elections in Bangladesh

Govt launches probe into last 3 national polls

The government has formed a committee to investigate allegations of corruption, irregularities, and criminal activities in the three national elections held in 2014, 2018, and 2024.

4h ago