জুলাইয়ে চীনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির নতুন রেকর্ড
জুলাই মাসে অপ্রত্যাশিতভাবে চীনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মন্দা থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে এই প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ফল রাখবে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, জুলাই মাসে এক বছর আগের তুলনায় চীনের রপ্তানির পরিমাণ ১৮ শতাংশ বেড়েছে, যা এ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম। জুনে এই হার ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের চাহিদা কমতে থাকায় বিশ্লেষকরা পূর্বাভাষ দিয়েছিলেন, এ হার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ হতে পারে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক কারখানা সমীক্ষায় জানা গেছে, জুলাই মাসে সার্বিকভাবে পণ্যের চাহিদা কমে গেছে। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির সময়ের পর পণ্যের অর্ডার ও সংশ্লিষ্ট সূচক এত নিচে নামেনি।
চীনের ৮টি প্রধান বন্দরে বিদেশী বাণিজ্যিক কন্টেইনারের কার্যক্রম জুলাই মাসে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। আভ্যন্তরীণ বন্দর সংস্থার প্রকাশিত তথ্য মতে, জুনে এই হার ৮ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল।
এক বছর আগের তুলনায় জুলাই মাসে আমদানির পরিমাণ ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। জুনে এই হার ছিল ১ শতাংশ। বিশ্লেষকরা ৩ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাষ দিয়েছিলেন।
বিশ্লেষকরা মত প্রকাশ করেছিলেন, বছরের দ্বিতীয় ভাগে আমদানির পরিমাণ কিছুটা হলেও বাড়বে, কারণ সরকার অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বাড়াচ্ছে।
আমদানি কম থাকায় ও অপ্রত্যাশিত রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জন করায় চীন গত মাসে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেকে ১০১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত থেকেছে, যা একটি নতুন রেকর্ড।
চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক পরিকল্পনাবিদরা গত সপ্তাহে জানান, দেশের অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল ও পুনরুজ্জীবিত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং তৃতীয় প্রান্তিক এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
২৬ জুলাই আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থা (আইএমএফ) চীনের ২০২২ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাষ এপ্রিলের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ করে। কারণ হিসেবে করোনাভাইরাস লকডাউন ও দেশটির আবাসন খাতের ক্রমবর্ধমান দুর্দশার কথা বলা হয়।
Comments