জন্মদিনে কথা বলি না, নীরব থেকে সময় দেখি : মহাদেব সাহা

বাংলা ভাষার জনপ্রিয় কবি মহাদেব সাহার ৮০তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৪ সালের আজকের দিনে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। প্রেম ও দ্রোহের কবি হিসেবে পরিচিত তিনি।
ছবি: ফেসবুক

বাংলা ভাষার জনপ্রিয় কবি মহাদেব সাহার ৮০তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৪ সালের আজকের দিনে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। প্রেম ও দ্রোহের কবি হিসেবে পরিচিত তিনি।

মহাদেব সাহা ১৯৬৭ সালে বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সাপ্তাহিক পূর্বদেশ পত্রিকার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন কবি। পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন। সর্বশেষ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা থেকে অবসর নেন।

তার বইয়ের সংখ্যা দেড় শতাধিক। ১৯৭২ সালে কবির প্রথম কবিতার বই 'এই গৃহ এই সন্নাস' প্রকাশিত হয়, 'চাই বিষ অমরতা' প্রকাশ পায় ১৯৭৫ সালে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত 'ভুলে যাওয়ার চেয়ে ভালো কিছু নেই'। তিনি সাহিত্য কীর্তির জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাউল সাহিত্য পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী স্মৃতি পদকসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন।

কবি জন্মদিন উপলক্ষে সংক্ষেপে কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

আজ ৮০তম জন্ম আপনার। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে জীবনের উপলব্দি কি?

মহাদেব সাহা: আজকের দিনে বেশি কথা বলতে চাই না। এই দিন আমি চুপ করে থাকি। নীরব থেকে সময় দেখি। এই দিনে কথা বলার চেয়ে চুপ থেকে আনন্দ পাই।

আগস্ট মাসে আপনার জন্মদিন। এই মাসে আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি। এই সময়টাকে কীভাবে দেখেন?

মহাদেব সাহা: এই মাসে কেবল আমারই জন্মদিন না। একই দিনে শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের জন্মদিন, ৮ তারিখে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন। ১০ তারিখ আমার বাবা মারা যান, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হারালাম। সব মিলিয়ে আনন্দের চেয়ে আগস্ট আমার জন্য ভয়াবহ স্মৃতির মাস।

১৫ আগস্ট নিয়ে বিশেষ কিছু লিখেছিলেন?

মহাদেব সাহা: হ্যাঁ, আমার একটা বই আছে 'আত্মস্মৃতি ১৯৭৫: সেই অন্ধকার সেই বিভীষিকা'। একে বলা যায়, অশ্রুময় এক অখণ্ড গদ্যকাব্য আমার। বইতে ওঠে এসেছে মহাজীবনের এক অসামান্য ইতিহাস। শোকাহত, ব্যথিত কবির আত্মস্মৃতিতে মহামানবের জীবন কাহিনীর মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে এই বাংলার জীবনচিত্র। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ, সাহস ও শৌর্যের বিবরণ, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা—তথা এক জীবনের মধ্যে অসংখ্য জীবন, অসংখ্য ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

17h ago