নজরুল ও প্রমীলার কালজয়ী প্রেম-প্রণয়
জন্মগ্রহণ করার পর নাম রাখা হয়েছিল প্রমিলা সেনগুপ্ত। বিয়ের পর নাম দেওয়া হয় আশালতা। বিবাহিত জীবনে সবখানে নিজের নাম স্বাক্ষর করেন 'প্রমীলা নজরুল ইসলাম' নামে। সওগাত পত্রিকার (ভাদ্র ১৩৩৬) সংখ্যায় একটি কবিতা লিখেছেন 'শঙ্কিতা' নামে, সেখানে নিজের নাম দিয়েছেন 'মিসেস্ কাজী নজরুল ইসলাম'।
ডাকনাম ছিল, দোলনা দেবী। কাছের মানুষদের কেউ ডাকতেন 'দোলন' আর কেউ ডাকতেন 'দুলী' নামে। সওগাত-সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন জানাচ্ছেন, নজরুল প্রিয়তমার 'দোলন' নামটি স্মরণীয় করে রাখতে নিজের কাব্যগ্রন্থের নাম রেখেছেন 'দোলন-চাঁপা'। নজরুলের বিখ্যাত 'খুকী ও কাঠবিড়ালী' কবিতায় প্রমীলা সেনগুপ্তকে ডাকা হয়েছে 'রাঙা দিদি' বলে। নজরুলের ঘনিষ্ঠজন সুফী জুলফিকার হায়দার কবিপত্নীকে ডাকতেন 'রাঙা ভাবি' বলে। কবি খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন ডাকতেন 'ভাবি সাহেবা'।
বিয়ে-পূর্ববর্তী জীবন
কুমিল্লা ছিল ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্গত। ত্রিপুরা রাজ্যের নায়েব বসন্তকুমার সেনগুপ্তের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন গিরিবালা দেবী। তাদের একমাত্র সন্তান প্রমীলা সেনগুপ্ত। সন্তান ভূমিষ্ঠের অল্পদিনের মধ্যে স্বামী মারা গেলে গিরিবালা দেবী মেয়েকে নিয়ে দেবর ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের কান্দিরপাড়ের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। প্রমীলা সেনগুপ্ত লেখাপড়া করতেন ফয়জুন্নেসা গার্লস হাইস্কুলে। কিন্তু অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি স্কুল পরিত্যাগ করেন। তিনি খুব ভালো সঙ্গীত জানতেন।
সম্পর্কের সূত্রপাত
নজরুলের ৩৯দিন ব্যাপী যে বিখ্যাত অনশন তা তিনি ভেঙে ছিলেন শ্রীযুক্তা বিরজাসুন্দরী দেবীর অনুরোধে। তাকে নজরুল মা ডেকেছিলেন। তিনি ছিলেন ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের স্ত্রী, যার বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন গিরিবালা দেবী মেয়েকে নিয়ে। অর্থাৎ তারা সবাই এক বাড়িতেই থাকতেন। বিরজাসুন্দরী দেবীর সাথে নজরুলের মাতৃসুলভ ঘনিষ্ঠতার কারণেই প্রমীলা সেনগুপ্তর সাথে পরিচয় হয়। দৌলতপুরে আলী আকবর খানের ভাগ্নীর সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর নজরুল উঠেছিলেন বিরজাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে। কুমিল্লায় নজরুলের ঠিকানা পরিবর্তন হলো— দৌলতপুর থেকে কান্দিরপাড়।
কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদের থেকে জানতে পারি, ১৯২১ সালে প্রথমবারের মতো নজরুল যখন কুমিল্লায় যান তখন রথযাত্রা দেখতে নজরুল ও মুজফ্ফর আহ্মদ একটি ঘোড়ার গাড়ি ভাড়া করেছিলেন — সেই গাড়িতে নজরুলদের সাথে প্রমীলা সেনগুপ্তও ছিলেন। তখন তার বয়স মাত্র ১২! মজার ব্যাপার হচ্ছে, নজরুলের প্রথম বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে প্রমীলা সেনগুপ্তও উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দা খাতুন— নজরুল যার নাম দিয়েছেন 'নার্গিস', তার সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর ভেঙে পড়েছিলেন নজরুলও। বিরজাসুন্দরী দেবী এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠজনদের সহায়তায় সামলে উঠেছেন তিনি। সামলে উঠতে না উঠতেই প্রেমে পড়লেন সদ্য কিশোরোত্তীর্ণ প্রমীলার। পারিবারিকভাবেই প্রমীলা ছিলেন সংস্কৃতিমনা। আর সংস্কৃতির প্রতি নজরুল যে চিরনিবেদিতপ্রাণ তা বলাই বাহুল্য।
নজরুল তৃতীয়বারের মতো কুমিল্লায় এসেছিলেন ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেবারই কুমিল্লায় দীর্ঘতম সফর ছিল নজরুলের— টানা চার মাস। কেন এতো দীর্ঘ সময়? কারণ তখনই তিনি প্রেমে পড়েছেন প্রমীলার। তখন তিনি ১৩ বছর বয়সী বালিকা। নজরুল এবং প্রমীলার সেই প্রেমপ্রহরের ঘনিষ্ঠ সাক্ষী কুমিল্লার সন্তান সুলতান মাহমুদ মজুমদার। তার সাক্ষ্য: "নজরুল কুমিল্লা থাকাকালে সন্দেহাতীতভাবে বুঝতে পারলাম যে নজরুলের সঙ্গে তার ভাবী পত্নী কুমারী প্রমীলা সেনগুপ্তার পূর্বরাগ চল্ছে। নজরুল আমাকে নিতান্ত ছেলেমানুষ মনে করতেন। খেয়ালী কবি অসাবধান মুহূর্তে আমার মতো এক অসমবয়স্ক ভক্তের কাছে নিঃসঙ্কোচে তাঁর পূর্বরাগের অনেক কথাই বলতেন। কোনো কোনো সময় আমাকে দৌত্যকার্যও করতে হতো। এই দৌত্যকার্যে আমি কোনও দিন তাঁর বিশ্বাস ভঙ্গ করিনি। কবি মনে করতেন, আমি কিছুই বুঝিনা। আমি কিন্তু সবই বুঝতাম, তবে মুখ ফুটে রাটি করিনি। অবস্থা বিপর্যয়ে কোন নদীর জল কোন্ সাগরে গড়াবে তাই শুধু ভাবতাম।
কবি একদিন মার্চ মাসের প্রথম ভাগে আমার হোস্টেলে এসে একটা কবিতা লিখতে বসেন। আর কোনদিন তিনি হোস্টেলে বসে কবিতা লিখেননি। আমি নিকটে গেলে বললেন, 'প্রেমপত্র নয়, — কবিতা।' এ কথার পর আমি কামরার বাইরে গিয়ে নজরুলের চায়ের জোগাড় করলাম ও ঝারু মোল্লার কামরাতেই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম।
প্রায় আধ ঘণ্টা পর কবি আমাকে ডাকলেন ও কবিতাটি যে কাগজে লিখেছিলেন সে কাগজটা ভাঁজ করে আমার হাতে দিয়ে বললেন, আমি যেন সেটা তখনই দুলীর হাতে পৌঁছে দিয়ে আসি। তাঁর নাকি তখন সোনারং কম্পাউণ্ডে যাবার কথা। সেখান থেকে অতীন্দ্রমোহন রায়কে নিয়ে তিনি কুমিল্লা চকবাজারের ধারে গোমতীর তীরে এক ফকিরের সন্নিধানে যাবেন। বোধ হয়, সে ফকিরকে লোকে 'বাশাডার ফকির' বলতো। আমি বললাম, 'কবিতা পড়তে পারি?' তিনি বললেন, 'খুউব পড়তে পার'। ততক্ষণে চা এসে গেলো। তিনি চায়ে চুমুক দিলেন, আমি মনে মনে কবিতাটি পড়লাম। কবিতাটির নাম 'বিজয়িনী'।" (মজুমদার: ২০০৬, ২৪-৫)
সামাজিক বাধাবিপত্তি
নজরুল মুসলমান এবং প্রমীলা হিন্দু। সময়টা ১৯২২-২৪! সামাজিক বাধাবিপত্তি অস্বাভাবিক না। আশ্চর্যের বিষয় হলো মুসলমান সমাজ থেকে তেমন কোনো বাধা আসেনি, এসেছে হিন্দু সমাজ থেকে। সামাজিক বাধার কারণেই বিরজাসুন্দরী দেবী রাজি ছিলেন না এই সম্পর্কের ব্যাপারে। কারণ, তারও দুটি মেয়ে ছিল। পাছে না তাদের বিয়েতে কোনো সমস্যা হয়!
'আনন্দময়ীর আগমনে' কবিতা লেখার 'অপরাধে' কবিকে কুমিল্লা থেকে ১৯২২ সালের ২৩ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়। বিচারে কবির এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হলো। ১৯২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর কবি জেল থেকে মুক্তি পেলেন। মুক্তি পাওয়ার পরদিনই তিনি কুমিল্লায় চলে যান। এ নিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের হৃদয় ছিল ব্যথাতুর। কবি খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন লিখেছেন: "একদিন কাগজে বের হলো: তিনি জেল থেকে মুক্ত হয়েছেন। (১৫ই ডিসেম্বর ১৯২৩) আমরা প্রতীক্ষা করছিলাম—ছিলাম অধীর প্রতীক্ষায়। তাঁকে হৈ হৈ করে ষ্টেশন থেকে নিয়ে আসবো—এলবার্ট হলে সভা থেকে বহু পোষাকী বক্তৃতা করে স্তুতি-গান করবো, সত্য-মিথ্যা বিশেষণে তাঁকে বিশেষিত করে বাঙলাদেশকে তাক লাগিয়ে দেব। কত কল্পনা-জল্পনা মাথার ভেতরে গিস্গিস্ করছে।
'মুসলিম-জগতে'র তৎকালীন সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীনের সাথে এ-আলোচনায় কতো বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি। কিন্তু কোথায় নজরুল? বহরমপুর জেলে নজরুল নেই—সারা কোলকাতায় নজরুল নেই—হুগলীতে নজরুল নেই। কোথায় তিনি? তাঁর অগণিত ভক্তবৃন্দকে একেবারে পথে বসিয়ে তিনি সরে পড়েছেন কুমিল্লার এক নিভৃত পল্লীতে।" (মঈনুদ্দীন : ২০০২, ৩৫)
জেল থেকে বের হয়ে চতুর্থবারের মতো কুমিল্লায় গিয়েই প্রমীলার সাথে সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন নজরুল। এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন: "এখন যেখানে কুমিল্লার বিমান ঘাঁটি, তখন সেখানে শুধু ধান্য ফসলের জমিন ছিলো। সান্ধ্য ভ্রমণে বেড়িয়ে একদিন কবি ও আমি ঐ মাঠের এক জমির আইলে বসি...। আমরা বেড়িয়ে ফিরে আসবার সময় আমি তাঁকে জানালাম যে, 'কান্দিরপাড়বাসী ছেলেরা কিন্তু আপনার দুলীর সংগে মেশা আদৌ পছন্দ করে না, আপনি সাবধানে চলাফেরা করবেন।' দু'একদিন পর আমি বীরেন সেনের বাসায় গিয়ে দেখি 'নজরুল-দুলীর' প্রসঙ্গ নিয়ে অনেক বাসাতেই নানা রকম বিশ্রী আলোচনা চলছে। অবস্থা এতখানি গড়িয়েছে যে, নজরুল যে কোন সময় অপমানিত হতে পারেন। পাড়ার ছেলেরা তাঁর পেছনে লেগেছে। সংগে কিছু মুরুব্বি ধরনের লোকও ছেলেদের তাল দিচ্ছে। কতেক গুণ্ডা শ্রেণীর লোক পাড়ায় ঘুরাফেরা করছে। কিছু ফক্কর শ্রেণীর ছেলে জামার আস্তিনের মধ্যে লক্কড়খণ্ড নিয়ে টহল দিচ্ছে বড় রাস্তায়। কবি বললেন যে, তিনি শীঘ্রই কুমিল্লা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।" (মজুমদার, প্রাগুক্ত, ৩৪)
নজরুল চলে গেলেন কলকাতায়। কিছুদিনের মধ্যে গিরিবালা দেবী মেয়েকে নিয়ে কুমিল্লা ত্যাগ করে কলকাতায় চলে গেলেন। সমস্ত বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে নজরুলের কাছে মেয়েকে তুলে দেওয়ার জন্য কেমন মনোবল তার ছিল তা এই ঘটনা থেকে সহজেই অনুমেয়। আর কতটা ভরসা করতেন নজরুলের উপর তাও বোঝা যায়।
শুভ বিবাহ
নজরুল, গিরিবালা দেবী এবং প্রমীলা তিনজনই কলকাতায়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাকি কেবল। নজরুলের অভিভাবক বলতে কেউ নেই, আছেন শুধু মিসেস এম রহমান। কেবল নজরুল নয়, নজরুলের ঘনিষ্ঠজনরাও তাঁকে মা ডাকতেন। তিনিই বিয়ের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করলেন।
একেবারে গোপনীয়তা বজায় রেখে বিয়ে। উপস্থিত ছিলেন মাত্র আটজন।
বর— কাজী নজরুল ইসলাম
কনে— প্রমীলা সেনগুপ্ত
কাজী— মওলবী মঈন-উদ্দীন হোসায়ন
উকিল— আবদুস সালাম
সাক্ষী— খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন এবং মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী
কনেপক্ষে— গিরিবালা দেবী
বরপক্ষে— মিসেস এম রহমান
বর এবং কনের ধর্ম আলাদা, ফলে মুসলিম বা হিন্দু কোনো ধর্মমতেই বিয়ে সিদ্ধ হবে না। অগত্যা ১৮৭২ সালের ৩ নম্বর সিভিল ম্যারেজ এক্ট অনুযায়ী, কনেকে 'আহলে কিতাব' পরিচয়ে, ১০০০ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহ সম্পন্ন হয়। এই ঐতিহাসিক বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল কলকাতার হাজী লেনের ৬ নং বাড়িতে। তখন ছিল রমজান মাস, ২০ রমজান— ১৯২৪ সালের ২৫ এপ্রিল— রোজ শুক্রবার।
আফসোসের বিষয় হচ্ছে, বিয়ের পরেও বন্ধ হয়নি সামাজিক আক্রমণ। হিন্দু মেয়েকে বিয়ের কারণে ব্রাহ্মণরাও ক্ষেপে গিয়েছিলেন নজরুলের উপর। নজরুলের প্রতি 'শনিবারের চিঠি'র যে আক্রমণের কথা আমরা জানি তার পেছনেও রয়েছে এই বিয়ে। মুজফ্ফর আহ্মদ লিখেছেন: "প্রমীলা সেনগুপ্তাকে বিয়ে করেছিল ব'লে ব্রাহ্মরা নজরুলের উপর বড় বেশী চটে গিয়েছিলেন। 'শনিবারের চিঠি' ব্রাহ্ম মালিকানা-বিশিষ্ট 'প্রবাসী' পত্রিকার অফিসে জন্মগ্রহণ করেছিল। তার 'জনক' ছিলেন 'প্রবাসী'র তখনকার পরিচালক শ্রীঅশোক চট্টোপাধ্যায়। ১৯২৪ সালের ২৪শে (মূলত ২৫) এপ্রিল তারিখে নজরুলের বিয়ে হয়েছিল আর জুলাই মাসে বা'র হয়েছিল 'শনিবারের চিঠি'। দিনক্ষণ বিচার ক'রেই মোহিতলাল 'শনিবারের চিঠি'তে যোগ দিয়েছিলেন এবং 'প্রবাসী'তেও লেখা আরম্ভ করেছিলেন।" (আহ্মদ: ১৯৬৯, ২৮১-২)
সমালোচনা, কুৎসা রটানো চলছিলো দেদারসে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ব্যক্তি আক্রমণও করছিলো হরহামেশা। কিন্তু নজরুল ও প্রমীলা এসবের থোরাই কেয়ার করতেন। আর এজন্যই সামাজিক সমস্ত বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে প্রেম গড়িয়েছে প্রণয়ে, প্রণয় দীর্ঘায়িত হয়েছে আমৃত্যু।
সহায়ক
১.কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা : মুজফ্ফর আহ্মদ, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, ১৯৬৯
২. যুগ-স্রষ্টা নজরুল : খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন, আল-হামরা লাইব্রেরী, ঢাকা, ২০০২
৩. ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি : সুলতান মাহ্মুদ মজুমদার, নজরুল ইনস্টিটিউট, ঢাকা, ২০০৬
৪. সওগাত- যুগে নজরুল ইসলাম : মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন, নজরুল ইনস্টিটিউট, ঢাকা, ১৯৮৮
৫. নজরুল জীবনের শেষ অধ্যায় : জুলফিকার হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুস্তক কেন্দ্র, ১৯৬৯
Comments