শুক্রবারের বইমেলা পাঠক-দর্শনার্থীতে জমজমাট 

শুক্রবারের বইমেলা পাঠক-দর্শনার্থীতে জমজমাট। ছবি স্টার

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার মানে পাঠক-দর্শনার্থীতে জমজমাট বইমেলা। বিক্রিয়কর্মী, প্রকাশক ও লেখকদের জন্য সবচেয়ে ব্যস্ততার দিন। দর্শনার্থীদের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ রয়েছে প্রাণবন্ত। সকাল থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে বাড়তে থাকে লোক সমাগম। সবার পদচারণায় এক অন্য রুপ নেয় বই মেলা।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্যাভিলিয়নগুলোর সামনে দলে দলে তরুণ-তরুণীরা বাসন্তী রঙের শাড়ি আর হলুদ পাঞ্জাবি পরে হাঁটছেন, বই দেখছেন। তাছাড়া মেলায় অনেক তরুণীই আসেন মাথায় ফুলের মুকুট, হাত ভর্তি ফুলের মালা আর বাসন্তী কিংবা হলুদ শাড়ি পরে। তবে আজ আগতদের অনেকেই বই কিনেছেন। শিশু প্রহরে অভিভাকদের থেকে এসেছে বাচ্চারা।

কথা হয় যাত্রাবাড়ী থেকে আসা সালাম জাহান সনিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ছুটির দিনে সব সময় আসার সুযোগ পাই না। তবে সুযোগ করে আজ আনন্দের সাজে এসেছি। ছোটবোনসহ এসেছি, মেলায় বই কিনব আর দুজনে ছবি তুলব।

শোভা প্রকাশের মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ছুটির দিন ছাড়াও আজ অনেক মানুষ এসেছে কিন্তু সেভাবে বিক্রি হয়নি। দর্শনার্থীদের বিশাল একটা অংশ কেবল ঘুরে, ছবি তোলে, আড্ডা দিয়ে মেলায় সময় কাটায়। হাতে বই কেনার প্যাকেট দেখা যায় না। 

আবার অন্যদিকে পাঞ্জেরীর প্রকাশক কামরুল হাসান শায়ক বলছেন ভিন্নকথা । তিনি বলেন, আমাদের বিক্রি ভালো হচ্ছে। ধীরে ধীরে মানুষ আসছেন, বই দেখছেন, ক্যাটালগ সংগ্রহ করছেন এবং নির্বাচিত বই নিচ্ছেন। এবারের মেলা নিয়ে আমরা আশাবাদী। 

মেলার মাঠে দেখা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গতবারের তুলনায় বইমেলার জায়গা ছোট মনে হচ্ছে। স্টলগুলোর বিন্যাস আগত দর্শনার্থীদের জন্য সহায়ক না। ধুলাবালি যেভাবে আছে তাতে মেলার আনন্দকে ক্লান্তিকর করে তুলবে।

মেলায় আসা নতুন বইয়ের মধ্যে ঐতিহ্য থেকে লাবণ্য দাশের  মানুষ জীবনানন্দ, আশরাফ জুয়েলের 'পাখিরোষ' এবং 'রাষ্ট্রধারণার বিরুদ্ধে মামলা ও বিবিধ গল্প'  আগামী থেকে রফিকুর রশীদের  ছড়িয়ে গেল ভাষার লড়াই, পাঠক সমাবেশ থেকে  ইকতিয়ার চৌধুরীর যমুনা সম্প্রদায় ,আনন প্রকাশন থেকে হাসানাত লোকমানের তর্জনী ছুঁয়েছে আকাশ,  কথাপ্রকাশ থেকে  ইকতিজা আহসানের নাচনমহল, অঞ্জন আচার্যের তৃতীয় গল্পগ্রন্থ 'বাতাসের তলোয়ার, ‌বেঙ্গল পাব‌লি‌কেশন্স থেকে মঈনুল হাসানের আয়না ভাঙার পর, মিজান পাবলিশার্স থেকে সালাউদ্দিন বাদ্লের ভালোবাসার কবিতা, বাংলানামা থেকে কাজল রশীদ শাহীনের এই আমি কোথাও নেই, সৃজন থেকে শফিকুল ইসলামের চিন্তানুরণন ও লুকোচুরির জীবন, পুঁথিনিলয় থেকে ফারুক সুমনের 'দীপ্তিমান মনীষা' শাহ আলম সাজুর  কিশোর মুক্তিযুদ্ধের গল্প : দুঃসাহসী রতন উল্লেখযোগ্য। 

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

5h ago