শুক্রবারে বইমেলায় ভিড় বাড়লেও বিক্রি কম, বলছেন বিক্রেতারা
দিন যত যাচ্ছে মুখর হয়ে উঠেছে বইমেলা প্রাঙ্গণ। বিশেষ করে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বিকেলে যেন ঢল নামে।
আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বই মেলায় দর্শক সমাগম অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি দেখা যায়।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, দর্শকদের ভিড় থাকলেও সে অনুযায়ী বাড়েনি বইয়ের বিক্রি। সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়তে পারে।
আহমেদ প্রকাশনীর প্রকাশক মেজবাহ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মেলায় যে হারে মানুষ এসেছে সে হারে বিক্রি হয়নি। অনেকে দলবলসহ স্টলে আসেন। তাদের মধ্যে কেউ বই কিনেন, আবার কেউ কিনেন না। তাই স্টলের সামনে জটলা থাকলেও বই বিক্রি তেমন বাড়েনি।'
শুক্রবার সকালে ছিল শিশুপ্রহর। মতিঝিল থেকে সন্তানকে নিয়ে বই মেলায় এসেছেন রাহেল বেগম। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি দেশের, সংস্কৃতি ও ভাষা সম্পর্কে জানতে শিশুদের জন্য বইমেলার বিকল্প নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করে শিশুদের মেলায় নিয়ে আসি।'
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মুহু আরজু বলেন, 'মেলার স্পেস দেখে এবার ভালো লাগছে। কিন্তু ধুলো-ময়লা বিষয়ে আয়োজকদের একটু সতর্ক থাকা উচিত।'
লেখক ফারুক মঈন উদ্দীন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বইমেলা আমার বরাবরই ভালো লাগে। অনেক পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়। বই নিয়ে পাঠকদের সঙ্গে সরাসরি আলাপ আড্ডা হয়।'
নতুন বইয়ের মধ্যে দশম দিনে মেলায় এসেছে আগামী থেকে ড. ওয়াহিদুজ্জামানের সিংগেল মাদার, ড. লীনা তাপসী খানের কাজী নজরুলের সংগীত ভাবনা, অন্বেষা থেকে দীপু মাহমুদের আল-কুরআনে উপমা, আবু সাঈদ তুলুর বাংলাদেশের সমকালীন থিয়েটার, দীলতাজ রহমানের দাগের দামে, ঐতিহ্য থেকে আবদুল মান্নান সৈয়দের আমার নজরুল, শান্তনু কায়সারের গভীর গভীরতর অসুখ: গদ্যসত্তার জীবনানন্দ দাশ, রবিশংকর বলের ধুলোবালিকথা, আগামী থেকে রফিকুর রশিদের মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস সমগ্র, পাঠক সমাবেশ থেকে মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার।
Comments