৯৪তম জন্মদিন

জন্মদিন পালনে আমি বিশ্বাসী নই : আহমদ রফিক

ছবিতে সদ্য প্রকাশিত রচনাবলি থেকে আহমদ রফিককে কবিতা পড়ে শোনাচ্ছেন কবি নূরুল হুদা। পাশে 'খামখেয়ালী সভা'র সভাপতি মাহমুদ হাশিম। ছবি: হাসান সালেহ্ জয়।

জন্মদিন পালনে আমি বিশ্বাসী নই । তাছাড়া বয়স্কদের জন্মদিন পালনেও আমার অনীহা আছে। তবু লেখালেখির জীবনে আমার বেশ কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধে, আয়োজনে পালন হয় জন্মদিন। আজও তাই হয়েছে। 

কথাগুলো দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন আহমদ রফিক। যিনি বিশিষ্ট ভাষা সংগ্রামী, খ্যাতিমান রবীন্দ্র গবেষক ও প্রাবন্ধিক হিসেবে পরিচিত। তিনি আজকের দিনে ১৯২৯ সালের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শাহবাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদকসহ পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। এ ছাড়া কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইন্সটিটিউট তাকে 'রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য' উপাধিতে ভূষিত করেছে।

জন্মদিনে কী আয়োজন ছিল প্রশ্নের জবাবে আহমদ রফিক বলেন, বাংলা একাডেমি একটি অনলাইন আলোচনার আয়োজন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও প্রাবন্ধিক খান মাহবুব। 

তারা জন্মদিন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি থেকে আমার প্রকাশিতব্য রচনাবলির প্রথম খণ্ড প্রকাশ করে। আর প্রথম খণ্ডে রয়েছে আমার কবিতা ও কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধ। এতে খুব আনন্দিত আমি।' 

জন্মদিনে আহমদ রফিকের বাসায় এসে রচনাবলির প্রথম খণ্ড থেকে কবিতা পড়ে শোনান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও রচনাবলী সম্পাদক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বাংলা একাডেমি থেকে জীবদ্দশায় এই প্রথম কোনো লেখকের রচনাবলি প্রকাশিত হয়। জন্মদিনে এমন উপহারে আনন্দ প্রকাশ করেন এ গুণীজন

আহমদ রফিকের তার প্রথম গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ গ্রন্থ প্রকাশ হয় ১৯৫৮ সালে। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই সাহিত্য ও রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন অগ্রভাগে। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট গঠন ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেন সক্রিয়ভাবে। এ কারণে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এতে দমে যাননি, পাশাপাশি লিখে গেছেন। 

১৯৬০ সালে ওষুধ প্রতিষ্ঠান 'অ্যালবার্ট ডেভিড'-এ টেকনিক্যাল তথ্য বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন আহমদ রফিক। ১৯৬৪ সালে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গড়ে তোলেন স্বদেশী ওষুধ কোম্পানি 'ওরিয়ন ল্যাবরেটরিজ'। ১৯৯৬ সালে এই সংস্থার চেয়ারম্যান পদ থেকে অবসর নেন তিনি। ভাষা আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ ও গবেষণার ফলে এ বিষয়ে তার একাধিক তথ্যবহুল গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্য সংস্কৃতি কবিতা প্রবন্ধসহ তার রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago