৯৫তম জন্মদিন

পাঠকদের ভালোবাসায় জন্মদিনে শুভ সময় পার করছি: আহমদ রফিক

ঘটা করে জন্মদিন পালনে আমি বিশ্বাসী নই। বয়স্কদের জন্মদিন পালনেও আমার অনীহা কাজ করে।
ছবি: সংগৃহীত

সমাজের অসময় হলেও মানুষের ভালোবাসা পেলে যে কারও জন্মদিন শুভ হয়। তেমনি পাঠকের ভালোবাসায় আমি জন্মদিনে শুভ সময় পার করছি। তবে ঘটা করে জন্মদিন পালনে আমি বিশ্বাসী নই। বয়স্কদের জন্মদিন পালনেও আমার অনীহা কাজ করে।

কথাগুলো দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন আহমদ রফিক। যিনি বিশিষ্ট ভাষা সংগ্রামী, খ্যাতিমান রবীন্দ্র গবেষক ও প্রাবন্ধিক হিসেবে পরিচিত। তিনি আজকের দিনে ১৯২৯ সালের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শাহবাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদকসহ পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। এ ছাড়া কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইন্সটিটিউট তাকে 'রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য' উপাধিতে ভূষিত করেছে।

জন্মদিনে কীভাবে পার করছেন প্রশ্নের জবাবে আহমদ রফিক বলেন, শরীরটা ভালো না। শুয়ে আছি। তবে সকাল থেকে অনেকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কথা বলছেন, খুঁজ খবর নিচ্ছেন। এতে আমার খানিকটা আনন্দ হয়। তাদের জন্যও আমার ভালোবাসা... 

আহমদ রফিকের তার প্রথম গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ গ্রন্থ প্রকাশ হয় ১৯৫৮ সালে। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই সাহিত্য ও রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন অগ্রভাগে। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট গঠন ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেন সক্রিয়ভাবে। এ কারণে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এতে দমে যাননি, পাশাপাশি লিখে গেছেন। 

১৯৬০ সালে ওষুধ প্রতিষ্ঠান 'অ্যালবার্ট ডেভিড'-এ টেকনিক্যাল তথ্য বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন আহমদ রফিক। ১৯৬৪ সালে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গড়ে তোলেন স্বদেশী ওষুধ কোম্পানি 'ওরিয়ন ল্যাবরেটরিজ'। ১৯৯৬ সালে এই সংস্থার চেয়ারম্যান পদ থেকে অবসর নেন তিনি। ভাষা আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ ও গবেষণার ফলে এ বিষয়ে তার একাধিক তথ্যবহুল গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্য সংস্কৃতি কবিতা প্রবন্ধসহ তার রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক।

উল্লেখ্য গত জন্মদিনে বাংলা একাডেমি থেকে আহমদ রফিকের রচনাবলির প্রথম খণ্ড প্রকাশ হয়। প্রথম খণ্ডে ছিল তার কবিতা ও কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধ। 

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

17h ago