বাড়িতে পোষা প্রাণী আনার আগে যে ৮ বিষয় বিবেচনা করবেন
মন ভালো রাখতে পোষা প্রাণীর জুড়ি নেই। তবে নতুন বন্ধুকে বাড়িতে আনার আগে ৮টি বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে।
বাড়তি খরচ
পোষা প্রাণী প্রিয়সঙ্গী হলেও খরচের দিক বিবেচনা করলে কিছুটা বেগ পেতে হয়। প্রতি মাসে খাবার, চিকিৎসা, খেলনা ইত্যাদির জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আলাদা করে রাখতে হবে। এ ছাড়া কোনো কিছু ভেঙে ফেললে তা মেরামত করার জন্যও বাড়তি খরচ করতে হয়।
বাড়ি প্রস্তুত
পোষা প্রাণী থাবা বসানোর আগেই বাড়ির জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলতে হবে। স্বল্প উচ্চতায় ঝুলন্ত ইনডোর প্ল্যান্ট থাকলে তা বিড়ালের সালাদ হওয়ার আগেই বিদায় জানান! যেকোনো তার ও কর্ড লুকিয়ে রাখুন। কারণ সেগুলো আপনার কুকুর বন্ধুর কাছে আপনার চেয়েও বেশি প্রিয় হবে। এ ছাড়া বসার ঘরে সেন্টার টেবিল থাকলে সেখানেই পোষা প্রাণী নিজের ঘর বানিয়ে ফেলবে।
বিছানা ও গোসল করানো
দিনভর খেলাধুলা শেষে বিশ্রামের জন্য পোষা প্রাণীর একটি আরামদায়ক জায়গার প্রয়োজন পড়বে। তাই একটি নরম বিছানা বা কুশনের ওপর বিশ্রাম নেওয়ার অভ্যাস করানোই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। নয়তো আপনার বিছানা বেছে নিতে পারে। আর গোসলের সময় কিছুটা ধস্তাধস্তির জন্য মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করুন। কারণ বেশিরভাগ পোষা প্রাণী গোসল করতে পছন্দ করে না।
নিজস্ব কর্নার করা
পানি, খাবারের বাটি, লিটার বাক্স ও স্ক্র্যাচিং পোস্টের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস এক জায়গায় রেখে পোষা প্রাণীর জন্য আলাদা একটি জোন তৈরি করুন। পোষা প্রাণী তাদের নিজস্ব জায়গা বুঝে গেলে সেখানেই খাবার খাওয়া, মলমূত্র ত্যাগ করা ও ঘুমানোর জন্য বেছে নেবে।
সময় দেওয়া
পোষা প্রাণী যেমন আপনার প্রয়োজনে আপনাকে সঙ্গ দেয়, তারাও বিনিময়ে ভালবাসা ও মনোযোগ পেতে চায়। তাই প্রাণী পোষার আগে নিজের দৈনন্দিন রুটিন পর্যালোচনা করা আবশ্যক। নিয়মিত হাঁটা, খেলার সময় এবং চাহিদা অনুযায়ী আদর করার জন্য আপনার সময় আছে কি না দেখুন। যথেষ্ট যত্ন ও মনোযোগ না পেলে পোষা প্রাণী বিষণ্নতায়ও ভুগতে পারে।
খাবার
পোষা প্রাণীদের প্রতিদিনের খাবারে কী দেবেন তা জেনে নিতে হবে। সেদ্ধ, টিনজাত বা কাঁচা খাবার যাই দেন না কেন, পোষা প্রাণী তা খেতে পছন্দ করছে কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। প্রথমে কয়েকবার ব্যর্থ হলেও চিন্তার কিছু নেই। এ ছাড়া, আপনি খাওয়ার সময় তাদেরকে না দিলে কিছুটা দুঃখীভাব করতে পারে। তবে তাদের লোভকে প্রশ্রয় দেবেন না। কারণ সেসব খাবার খেলে বদহজম হতে পারে।
ব্যায়াম
পোষা প্রাণী, বিশেষ করে কুকুর ব্যায়াম করলে সুস্থ থাকে। জিনিস কুড়িয়ে আনা এবং তাড়া করার পাশাপাশি কুকুরকে অবশ্যই হাঁটানোর অভ্যাস করতে হবে।
অন্যদিকে বিড়ালদের নিজস্ব খেলাধুলার অপশন রয়েছে। বিড়াল নিশাচর হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে খেলতে দেওয়া স্মার্ট কৌশল হতে পারে। এতে আপনার ঘুমানোর সময় হওয়ার আগেই তাদের খেলার শক্তি ব্যয় হয়ে যাবে!
ভেট কেয়ার
আপনার পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য একজন নির্ভরযোগ্য পশুচিকিৎসক থাকা প্রয়োজন। বাড়ির কাছাকাছি একটি ক্লিনিক খুঁজুন, টিকা দিন এবং নিয়মিত চেক-আপ করুন। পশুচিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
এই দায়িত্বগুলো পালন করতে হবে তা মাথায় রেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিন বাড়িতে পোষা প্রাণী আনার।
অনুবাদ করেছেন আসরিফা সুলতানা রিয়া
Comments