জিম ব্যাগে যা রাখবেন

জিম ব্যাগ। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে সবাই স্বাস্থ্য সচেতন। সুস্বাস্থ্য ও আকর্ষণীয় শরীর গঠনের জন্য বিশেষ করে তরুণ তরুণীদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। সেজন্য অনেকেই নিয়মিতই জিমে ছুটছেন। সঠিক ডায়েট আর একজন জিম ট্রেইনারের তত্ত্বাবধানে থেকে যে কেউ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে।

'জিম জোন বিডি' জিমের ট্রেনার রওশন রউফ বলেন, 'দেহকে সুগঠিত করতে নিয়মিত জিমে এসে অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই। তাই নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। প্রথম দিকে হয়তো ক্লান্তি লাগবে। তবে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার এবং রুটিন মেনে অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে।'

তিনি বলেন, 'জিমে ব্যায়াম করার জন্য অনেক ইনস্ট্রুমেন্ট থাকে। তবে বাসা থেকে বেশ ভালো কয়েকটা জিনিস সঙ্গে নিয়ে আসা ভালো। সুবিধার জন্য একটি ব্যাগ সবসময় নিজের কাছে রাখবেন। এতে তোয়ালে, পানির বোতল ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রাখতে পারেন। এতে জিমের প্রতি স্পৃহা বাড়ে। '

জিম ব্যাগে কী কী রাখলে অনুশীলনকালীন সময় কাজে আসবে তা তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান।

ডিওডারেন্ট

জিম করা বেশ পরিশ্রম সাধ্য কাজ। এতে করে শরীরের ঘাম ঝরে। সেই ঘাম থেকে সৃষ্টি হতে পারে দুর্গন্ধ। তাই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে ব্যাগে ডিউডারেন্ট রাখা জরুরি।

পানির বোতল

জিমে অনুশীলনকালীন সময়ের মাঝে তৃষ্ণা পেলে দুই চুমুক পানি খেতে পারেন। পানিতে মিশিয়ে নিতে পারেন সামান্য রক সল্ট এতে করে ক্লান্তি কিছুটা হলেও কমবে।

কেডস বা জুতা

জিমের জন্য আলাদা জুতা রাখা ভালো। বাইরের জুতা পরে জিম ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় না। কার্ডিও ব্যায়ামের জন্য জুতা বা কেডস খুব দরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ। ভালোমানের কেডস না ব্যবহার করলে পায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা এমনকি মেরুদণ্ডেও ব্যথাও হতে পারে।

পোশাক

জিমের পোশাক ঢিলেঢালা হওয়াই ভালো। জিমে অনুশীলনের সময় যেহেতু বাড়তি ঘাম ঝরে তাই জিম ব্যাগে বাড়তি পোশাক রাখা উচিত। তাছাড়া ব্যায়ামের সময় শরীরে ঘাম হলে তা সঙ্গে সঙ্গেই মুছে ফেলার জন্য তোয়ালেও রাখতে হবে।

হেডফোন

ব্যয়াম পরিশ্রম সাধ্য কাজ। তাই নিজেকে মোটিভেট রাখার জন্য শুনতে পারেন পছন্দের গান।

ড্রাই শ্যাম্পু

জিমে ব্যায়মের সময় মাথার তালু ঘামে। এতে করে চুল তেল চটচটে হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে জিম শেষ করার পর চুলে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে নিজের মধ্যে ফ্রেশ ভাব আসবে।

স্নাক্স

ওয়ার্কআউটের পরে শরীরকে সুস্থ করার সেরা উপায়গুলির মধ্যে একটি হল হালকা, প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার। এটি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তাই প্রোটিন বার, আখরোট বা পছন্দের কোনো ফল সঙ্গে রাখা ভালো। এতে ক্লান্তিবোধ কম লাগে।

ফিটনেস ট্রেকার

কতটুকু ওয়ার্কআউট করার পর আসলে কত ক্যালরি আপনার বার্ন করেছেন বা আপনার দিনের অগ্রগতি কতটুকু সেটি জানতে একটি ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যায়ামে উৎসাহ আনে।

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

3h ago