কুর্তির ফ্যাশনে ফিউশন
বিশ্বায়ন থেকে পাওয়া অন্যতম সেরা বিষয় পোশাকের ফিউশন। পূর্ব ও পশ্চিমা ধাঁচ- পোশাকের ভিন্ন দুটি ধারার সমন্বয়ের মাধ্যমে চমৎকার আরেকটি ধারা বা দুটোর ফিউশন তৈরি করা যায়। পৃথক দুই সংস্কৃতিকে একইসঙ্গে বেছে নেওয়ার দারুণ একটি উপায় এই ফিউশন পোশাক। এ ধরনের পোশাক আপনাকে করে তুলতে পারে আরও স্টাইলিশ।
কাফতান এক ধরনের শার্টজাতীয় কুর্তি। এর কলার ও হাতা শার্টের মতো হলেও দৈর্ঘ্যে এবং ছাঁচে এটি ঐতিহ্যবাহী কুর্তির মতো। এটি যেমন ফ্যাশনেবল তেমনি আরামদায়ক। টাইটস, জিন্স, জেগিংস বা স্ট্রেইট-কাট প্যান্টের সঙ্গে নানাভাবে পরে নিতে পারেন এটি।
শার্ট স্টাইলের এসব কুর্তির ব্যবহারও বহুমুখী। অফিসে, বন্ধুদের সঙ্গে কফির আড্ডায় কিংবা রাতের খাবারের দাওয়াতে- প্রায় সব ক্ষেত্রেই সাজপোশাকের চাহিদা মেটে কাফতানে। অর্থাৎ আশপাশের পরিস্থিতি যেমনই হোক, ফ্যাশনেবল থাকতে কাফতানের জুড়ি নেই।
এরকম আরেকটি কুর্তি স্টাইলের পোশাক হচ্ছে ডাস্টার জ্যাকেট। জর্জেট, ক্রেপ, সিল্ক বা ভারী শিফনের মতো কাপড়ে তৈরি হয় এটি। বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন উপায়ে পরা যায় এটি।
ট্যাঙ্ক টপ আর জিন্সের উপর ডাস্টার জ্যাকেট পরে চলে যাওয়া যায় সুপারমার্কেটে। আবার, বন্ধুদের দুপুরের খাবারের নিমন্ত্রণ থাকলে মানানসই ব্লাউজ বা টপ এবং ফ্লেয়ারড প্যান্টের উপর পরে নেওয়া যায় এই জ্যাকেট। ম্যাক্সি ড্রেস জাতীয় লম্বা পোশাকের উপর ডাস্টার জ্যাকেট পরে করতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও।
একটু ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চাইলে এটি পরে নেওয়া যায় পরিপাটি করে পরা শাড়ির উপর।
ফিউশন ফ্যাশনের সবচেয়ে বড় উপহার সম্ভবত কাফতান টপ। ফিতাসহ ঢিলেঢালা ধরনের এই পোশাকটি আরামদায়ক তো বটেই, এর আরেকটি বাড়তি সুবিধাও আছে। ওয়েস্টলাইন তুলনামূলক সরু দেখায় এতে।
কাফতানের স্টাইল যে কতভাবে করা যায় আর কত ধরনের কাপড় দিয়ে যে এই পোশাকটি বানানো যেতে পারে তা বলে শেষ করা যাবে না। তাঁতের কাপড় থেকে শুরু করে পাতলা শিফন বা ক্রেপ—নানা ধরনের কাপড়ে তৈরি হতে পারে কাফতান। সঙ্গে কোনো গয়না পরা হোক বা না হোক, কাফতান বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো প্রতিটি পরিবেশেই মানানসই ও সুন্দর পোশাক।
অনুবাদ: তানজিনা আলম
মডেল: শানিলা মেহজাবিন
স্টাইলিং: সাকি কাজী, শেজামি খলিল
মেকআপ: শাবাবা রশিদ
হেয়ার: মিয়া বেলা সেলন
ওয়ারড্রোব: নব ঢাকা কালেকশন
Comments