হোয়াইট হাউসে আসিম মুনির, পাকিস্তানের প্রশংসায় ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে একান্ত বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। বৈঠকে আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় পাকিস্তানের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআরের বরাতে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
বৈঠকে সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সহযোগিতারও প্রশংসা করেন ট্রাম্প।
আইএসপিআর জানায়, গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত দুই ঘণ্টার ঐতিহাসিক এ বৈঠকে ট্রাম্প ও আসিম মুনির আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী কৌশল ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
তাদের মধ্যে ওই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্রিপ্টোকারেন্সি, খনিজসম্পদ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবদানের কারণে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান জানানোর পর আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠকে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নিয়েও আলোচনা হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এ অঞ্চলে সংঘর্ষ নিরসনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়—বৈঠকে ট্রাম্প জানান, তিনি মুনিরের সঙ্গে ইরান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং বলেছেন, 'পাকিস্তান ইরানকে অনেক দেশের তুলনায় ভালো বোঝে।'
একইসঙ্গে ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও প্রশংসা করে বলেন, 'দুই দেশই বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুদ্ধ থামানো না হলে তা পারমাণবিক সংঘাতের রূপ নিতে পারত।'
সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে—ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, 'আমি যুদ্ধ থামিয়েছি... আমি পাকিস্তানকে ভালোবাসি। মোদিও অসাধারণ নেতা। আমি গতরাতে তার সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তিও হতে যাচ্ছে।'
এ বৈঠককে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ 'পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের এক মাইলফলক' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, '৭৮ বছরের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এ বৈঠকে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুগুলো যেভাবে আলোচনা হয়েছে, তা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির গুরুত্বকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।'
Comments