পাল্টা হামলা চালাতে ইসরায়েলে ১০০ ড্রোন পাঠাল ইরান

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেছেন, পাল্টা হামলা চালাতে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ১০০ ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান। তবে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেগুলো প্রতিহত করতে কাজ করছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে এপি ও বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এফি ডেফরিন বলেন, গতরাতের হামলায় ইরানি সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কমান্ডার ও ইরানের জরুরি কমান্ডের কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও জানিয়েছিল, রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন।
এই হামলার পর ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ সকালে ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বড় আকারে হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির দাবি, তেহরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইরানের গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বেশ কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের তথ্য দিয়েছেন, যার মধ্যে আছে তেহরানের মূল ইউরেনিয়াম পরিশোধনকেন্দ্র। তবে ইসরায়েলি হামলায় কি অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ইসরায়েল এই সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে 'রাইজিং লায়ন' (উদীয়মান সিংহ)। তাদের দাবি, এই হামলার লক্ষ্য ইরানের সামরিক কমান্ডার ও ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা। ইতোমধ্যে তেহরানের প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলার প্রস্তুতিতে ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সম্ভাব্য ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে দেশটি প্রস্তুত।
আগে রেকর্ড করে রাখা ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, 'আমরা ইসরায়েলের ইতিহাসের এক ক্রান্তিলগ্নে এসে পৌঁছেছি।'
তিনি বলেন, পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত ইরানের বিজ্ঞানী, দেশটির ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও নাতানজ ইউরেনিয়াম পরিশোধনাগার লক্ষ্য করে এই সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে।
এই অভিযান বেশ কিছুদিন ধরে চলতে পারে বলে আভাস দেন নেতানিয়াহু।
Comments