গাজায় পণ্য প্রবেশে ইসরায়েলি বাধার ১৫ দিন, ফুরিয়ে এসেছে খাদ্য ও ওষুধ

গাজার বেইত লাহিয়া এলাকায় একটি দাতব্য লঙ্গরখানা থেকে ইফতারের জন্য খাবার সংগ্রহ করতে ফিলিস্তিনি শিশুরা অপেক্ষা করছে। ছবি: এএফপি
গাজার বেইত লাহিয়া এলাকায় একটি দাতব্য লঙ্গরখানা থেকে ইফতারের জন্য খাবার সংগ্রহ করতে ফিলিস্তিনি শিশুরা অপেক্ষা করছে। ছবি: এএফপি

ইসরায়েল হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হয়েছে এ মাসের শুরুতে। প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় ধাপ শুরুর কথা থাকলেও বেঁকে বসে ইসরায়েল—জানায়, দ্বিতীয় ধাপের বাস্তবায়ন নয়, প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী তারা। এই প্রস্তাব হামাস মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মানবিক ত্রাণসহ গাজায় সব ধরনের পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।

টানা ১৫ দিন ধরে খাদ্য, জরুরি ওষুধসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ থেকে বঞ্চিত গাজাবাসীরা রয়েছেন চরম দুর্দশায়।

আজ সোমবার এ বিষয়টি জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

আজ জাতিসংঘের সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ইসরায়েলের এই নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছে।

ডব্লিউএফপি সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছে, '২ মার্চের পর গাজায় কোনো খাদ্য প্রবেশ করেনি, কারণ সব সীমান্ত পথে মানবিক বা বাণিজ্যিক, কোনো ধরনের পণ্যই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।'

১৫ দিন ধরে চলা ইসরায়েল আরোপিত এই অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে।

ডব্লিউএফপি জানায়, 'প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার কিছু উপকরণের দাম ২০০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গেছে।'

অপরদিকে, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীও ফুরিয়ে এসেছে।

জাতিসংঘের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তাসংক্রান্ত সংস্থা (ওসিএইচএ) সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছে, গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনি অভিভাবকরা গভীর উদ্বেগে ভুগছেন। তাদের আশঙ্কা, শিশুদের জন্য খাবার ও অন্যান্য জরুরি উপকরণ শিগগির ফুরিয়ে যাবে।

ওসিএইচএ জানায়, 'গাজার অভিভাবকরা তাদের শিশুদের খাবার খাওয়াতে হিমশিম খাচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে আবারও জরুরি সরবরাহ ফুরিয়ে আসছে।'

'পণ্যের সরবরাহ দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে। গাজার অবরোধ বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি', যোগ করে ওসিএইচএ।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল নতুন করে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কাজ করছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও ইসরায়েল তাদের হামলা বন্ধ রাখেনি।

শনিবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আট ত্রাণকর্মী ও একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

যার ফলে, ১৯ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধবিরতি চালুর পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০ হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Is the govt backing the wrongdoers?

BNP acting Chairman Tarique Rahman yesterday questioned whether the government is being lenient on the killers of a scrap trader in front of Mitford hospital due to what he said its silent support for such incidents of mob violence.

6h ago