ইরানকে সর্বোচ্চ চাপে রাখতে নতুন করে তেল খাতে বিধিনিষেধ আরোপ করলেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোলাজ ছবি: সংগৃহীত
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোলাজ ছবি: সংগৃহীত

ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল বাণিজ্যে নিযুক্ত আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আজ ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের 'ইরানকে সর্বোচ্চ চাপ দেওয়ার উদ্যোগের' অংশ হিসেবে এসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, 'ইরানের ক্ষমতাসীনরা এখনো পরমাণু হুমকি, ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প ও জঙ্গি সংগঠনদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখে বিশ্ব-নিরাপত্তাকে অস্থিতিশীল করার উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে।'

'ইরানের তেল রপ্তানির মূলে আছে একাধিক দেশের অবৈধ জাহাজিকরণ সেবাদাতা, যারা ধোঁকাবাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে দেশটির তেল এশীয় ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়', জানায় পররাষ্ট্র দপ্তর।

ওয়াশিংটনের দাবি, তেল রপ্তানি থেকে অর্জিত রাজস্ব ইরান 'অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার কাজে' ব্যবহার করে। এ কারণে বিধিনিষেধ আরোপ করে এই রাজস্ব উপার্জন বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, তারা 'জেনে-বুঝে ইরান থেকে পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়াম পণ্য বিক্রি ও পরিবহণের উল্লেখযোগ্য লেনদেনের সঙ্গে জড়িত।'

তালিকায় আছে কানগান পেট্রো রিফাইনারি কোম্পানি, কসমস লাইন্স ইঙ্ক, আলকোনোস্ট ম্যারিটাইম ডিএমসিসি, অস্টিনশিপ ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড, ওশ্যানএন্ড শিপিং লিমিটেড, আইএমএস লিমিটেড ও অকটেন এনার্জি গ্রুপ এফজেডসিও।

পররাষ্ট্র দপ্তর আরও জানায়, 'বিধিনিষেধের আওতাধীন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা আরও বেশি মালিকানা আছে এমন সকল প্রতিষ্ঠানও এই বিধিনিষেধের আওতায় পড়বে।'

অর্থাৎ, এই বিধিনিষেধের আওতায় থাকা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোনো ধরনের তহবিল, অনুদান, পণ্য বা সেবা দিতে পারবে না কোনো মার্কিন নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান।

পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছে, 'বিধিনিষেধের চূড়ান্ত লক্ষ্য শাস্তি দেওয়া নয়, বরং (ইরানের) ব্যবহারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।'

Comments

The Daily Star  | English
Apparel Buyers Delay Price Increases Post-Wage Hike Promise

Garment exports to US grow 17%

Bangladesh shipped apparels worth $5.74 billion in the July-March period to the USA

3h ago