উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার সংঘর্ষের জন্য ডেমোক্র্যাটদের দুষলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে উড়োজাহাজের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ওপর দোষ চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজের সঙ্গে মার্কিন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের পেছনে সর্বশেষ দুই ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের (এফএএ) বৈচিত্র্য নীতির দায় ছিল বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রে পিছিয়ে থাকা জাতিগোষ্ঠী, লিঙ্গ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের প্রতিনিধিত্ব ও সমান সুযোগ নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) নীতির মাধ্যমে কিছু কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। ট্রাম্প এবং রক্ষণশীল রাজনীতিবিদরা দীর্ঘদিন ধরে এই নীতির বিরোধিতা করে আসছেন।

সমালোচকরা বলে থাকেন, এর অধীনে মূলত অশ্বেতাঙ্গরা চাকরি পাওয়ায় এই নীতি শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের ওপর নির্ভরশীল রিপাবলিকান পার্টির চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছে।  

বুধবার রাতের দুর্ঘটনায় ৬৭ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা।

ট্রাম্পের মূল অভিযোগ, ওবামা ও বাইডেন প্রশাসন এফএএর বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের নিয়োগে তাদের যোগ্যতার চেয়ে ডিইআই নীতিকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে।

'আমার কাছে নিরাপত্তা সবার আগে। ওবামা, বাইডেনের কাছে (বৈচিত্র্য) নীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাদের রাজনীতি তো আরও খারাপ,' বলেন ট্রাম্প।

ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স আরও এক ধাপ এগিয়ে অভিযোগ করেন, ডেমোক্র্যাট আমলে শুধুমাত্র শ্বেতাঙ্গ হওয়ায় অনেক যোগ্য ব্যক্তি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের চাকরি পায়নি।

'শত শত লোক সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কারণ তারা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার হতে চেয়েছিল, কিন্তু কেবল গায়ের রঙের জন্য তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে,' বলেন ভ্যান্স।

তাদের এসব দাবির পেছনে কোনো প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস ও গার্ডিয়ান। ট্রাম্প নিজেও জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত মাত্র শুরু হয়েছে।

দুর্ঘটনার পেছনে যে বৈচিত্র্য নীতিই দায়ী, এত দ্রুত কীভাবে সে সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, 'কারণ আমার কমন সেন্স আছে। দুর্ভাগ্যবশত অনেকের সেটা নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh tops sea arrivals to Italy

The number of Bangladeshis crossing the perilous Mediterranean Sea to reach Italy has doubled in the first two months this year in comparison with the same period last year.

7h ago