ট্রাম্পের শপথের পরদিন পুতিন-জিনপিং বৈঠক, সম্পর্ক জোরদারের ডাক
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আজ বুধবার সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, মঙ্গলবার প্রায় দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকে চীন-রাশিয়ার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ও যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে দমিয়ে নতুন বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন দুই নেতা।
বছরের শুরুতে জিনপিং ও পুতিনের মধ্যকার বৈঠক এখন একটি বার্ষিক রীতিতে পরিণত হয়েছে। সিএনএনের মতে, দুই নেতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইঙ্গিত দেয় এসব বৈঠক।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের শপথগ্রহণের সঙ্গে এই বৈঠকের কোনো সম্পর্ক নেই।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী বৈঠকে শি বলেন, তিনি চীন-রাশিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং 'বাহ্যিক অনিশ্চয়তা'-র জবাব দিতে প্রস্তুত।
জিনপিং আরও বলেন, দুই দেশের 'কৌশলগত সমন্বয়' ও 'বাস্তব সহযোগিতা' গভীর করার পাশাপাশি একে-অপরকে আরও 'দৃঢ়ভাবে সমর্থন' করা উচিত।
বৈঠকে পুতিন দুই দেশের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যের প্রশংসা করেন, যা গত বছর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করে একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে দুই দেশেরই অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।
ক্রেমলিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিনপিংকে উদ্দেশ্য করে পুতিন বলেন, 'আমরা একসঙ্গে একটি ন্যায়সঙ্গত বহুমুখী বিশ্বব্যবস্থার জন্য কাজ করছি, যা ইউরেশীয় অঞ্চলের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।'
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টা একটি প্রধান স্থিতিশীল ভূমিকা পালন করছে বলেও দাবি করেন পুতিন।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প-নেতৃত্বাধীন নতুন মার্কিন প্রশাসনের প্রসঙ্গও এসেছে এই বৈঠকে। সেখানে 'মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্ভাব্য যোগাযোগের কিছু দিক' নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
শপথগ্রহণের কয়েকদিন আগে জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প। সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এই ফোনালাপের প্রসঙ্গও মঙ্গলবারের বৈঠকে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
Comments