ভারতে লাখো ডলার দামের সাড়ে ৫ টন মেথ জব্দ

ভারতের কোস্টগার্ড সাড়ে ৫ টন মেথ জব্দ করেছে। ছবি: এএফপি
ভারতের কোস্টগার্ড সাড়ে ৫ টন মেথ জব্দ করেছে। ছবি: এএফপি

ভারতের কোস্টগার্ড একটি মাছ ধরার জাহাজ থেকে সাড়ে পাঁচ টন মেথামফেটামিন মাদক জব্দ করেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ মিয়ানমার থেকে এই মাদক চোরাকারবারের মাধ্যমে ভারতে আনা হচ্ছিল। খোলা বাজারে এই মাদকের দাম কয়েক লাখ ডলারেরও বেশি। 

আজ মঙ্গলবার ভারতীয় কোস্ট গার্ডের (আইসিজি) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

আইসিজির টহল বিমান ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে অবস্থিত আন্দামান সাগরে একটি ছোট মাছ ধরার জাহাজ শনাক্ত করে। জাহাজের 'চলাফেরা সন্দেহজনক' বলে নিশ্চিত হন তারা।

পরবর্তীতে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কোস্টগার্ডের একটি নৌযান সেখানে পাঠানো হয়। রোববার ভোরে মিয়ানমারের ছয়জন নাগরিকসহ ওই মাছ ধরার জাহাজটি ভারতের জলসীমানায় প্রবেশ করলে কোস্টগার্ডের জাহাজ সেখানে পৌঁছায়।   

কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা মিয়ানমার থেকে আসা জাহাজটিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত মেথামফেটামিন (ক্রিস্টাল মেথ, আইস বা শুধু মেথ নামেও পরিচিত) উদ্ধার করেন। আইসিজির বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

'আইসিজির ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় আকারের মাদক জব্দের ঘটনা। এতে ভারতের জলসীমানা নিরাপদ রাখায় সংস্থাটির অঙ্গীকারের প্রকাশ ঘটেছে', বিবৃতিতে আরও বলা হয়।

মিয়ানমারের জাহাজটি আপাতত একটি ভারতীয় নৌঘাঁটিতে রাখা হয়েছে।

মিয়ানমারের শান রাজ্যকে এ ধরনের সিন্থেটিক মাদকের স্বর্গ বলে অভিহিত করা হয়। জঙ্গলে ঘেরা এই অঞ্চলের অসংখ্য অবৈধ ল্যাবরেটরিতে এই মাদক উৎপাদন করা হয়। থাইল্যান্ডের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত এই ল্যাবগুলো নিয়ন্ত্রণ করে সশস্ত্র গোষ্ঠীরা।

চোরাকারবারিদের ব্যবহৃত মাছ ধরার জাহাজ। ছবি: সংগৃহীত
চোরাকারবারিদের ব্যবহৃত মাছ ধরার জাহাজ। ছবি: সংগৃহীত

আগে চোরাকারবারের জন্য চীন-থাইল্যান্ডের স্থলপথ জনপ্রিয় হলেও সেখানে টহলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এখন নৌপথ বেছে নিচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ীরা।  

জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ১৯০ টন মেথ জব্দ করা হয়েছে।   

ভারতে জব্দ হওয়া মাদকের দাম লাখো ডলারেরও বেশি।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই মাদক বড় আকারে উৎপাদন করা হয় বলে এর উৎপাদন খরচ অনেক কম। এমন কী, কিছু কিছু এলাকায় কেজিতে মাত্র ৪০০ ডলার খরচেও এটি উৎপাদন করা সম্ভব।  

Comments

The Daily Star  | English

US sends list of items, seeking zero duty

The US has demanded zero duty facility for a large number of its products from Bangladesh.

11h ago