ফেনসিডিল আসা কমেছে, ইয়াবা-আইস বেড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: স্টার ফাইল ছবি

মাদক নির্মূলে সরকার ৩টি উপায়ে কাজ করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করায় দেশে ফেনসিডিল আসা কমেছে। তবে ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা ও আইস আসা বেড়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে আমরা ঠিক ততখানি সেবা দিতে পারছি না। আমাদেরও কিছু সীমাবন্ধতা রয়েছে। আমাদের সাইকিয়াটিস্ট নেই, এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ সে ধরনের চিকিৎসক নেই। সরকারিভাবে আমরা তেজগাঁওয়ে যেটা চালাচ্ছি সেখানেও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। তবে বসে থাকলে তো চলবে না, সেভাবেই আমরা চলছি-এগুচ্ছি। বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, ৩টি উপায়ে আমরা মাদকাসক্তি নিরাময় ও মাদক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি—চাহিদা হ্রাস, সরবরাহ হ্রাস ও হার্ম রিডাকশন। আমাদের সীমান্ত এলাকা অনেকগুলো খুব দুর্গম, যেখানে হেঁটে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। আমাদের সীমান্ত এলাকা অনেকগুলো এখনো অরক্ষিত রয়ে গেছে। সে কারণে বিভিন্নভাবে আমাদের সীমান্ত দিয়ে মাদক ঢুকে পড়ছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে মাদক আসতে না পারে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ভারতের সঙ্গে ফেনসিডিল সম্পর্কে অনেকবার আলাপ হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় ফেনসিডিল উৎপাদন বন্ধের জন্য তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমাদের হিসাব অনুযায়ী, ফেনসিডিল সরবরাহ কমেছে। কিন্তু ভয়ঙ্কর মাদক বেড়েছে সেটা হলো ইয়াবা। এর সঙ্গে আইস সংযুক্ত হয়েছে, যেটা আরও ভয়ঙ্কর। এগুলো আমাদের যুব সমাজের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। 

আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬৫ ভাগের বেশি কর্মক্ষম পুরুষ রয়েছে। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ যুবক। সেই জায়গায় আমরা যদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারি তাহলে ২০৪১ সালে আমরা যে স্বপ্ন দেখছি উন্নত বাংলাদেশের সেখানেও আমরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবো। যে কারণে হার্ম রিডাকশন—হাসপাতাল ও নিরাময় কেন্দ্রগুলো উৎসাহিত করছি যাতে যারা আসক্ত হয়ে গেছেন তাদের সুস্থ করা যায়। বর্তমানে আমাদের ৩৬২ নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সবগুলো মানসম্পন্ন নয়। আমাদের এক পুলিশ সদস্য হাসপাতালে মারা গেছেন। এই জায়গায় আমাদের আরও এগুতে হবে। কারণ আমরা এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক যেটা বলেছেন, আমি মনে করি তার চেয়ে অনেক বেশি। উনি কম করে বলেছেন, ৩৬ লাখের কথা বলেছেন। আমাদের কারাগারে বন্দি ৬০ শতাংশ মাদক চোরাকারবারি বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ঢাকা বিভাগে আসক্তের সংখ্যা বেশি।

Comments

The Daily Star  | English

Public admin reforms: Cluster system may be proposed for ministries

The Public Administration Reform Commission is likely to recommend reducing the number of ministries and divisions to 30 from 55 to improve coordination and slash the government’s operational cost.

8h ago