প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে ব্রুনো মার্স ও কে-পপ তারকা রোসে

ব্রুনো মার্স ও রোসে। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
ব্রুনো মার্স ও রোসে। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

ব্ল্যাকপিংক খ্যাত কে-পপ তারকা রোসে ও মার্কিন শিল্পী ব্রুনো মার্স প্রথমবারের মতো তাদের ভাইরাল মেগাহিট গান 'এপিটি' (আপাতিউ) মঞ্চে পরিবেশন করতে যাচ্ছেন।

আজ শুক্রবার জাপানের ওসাকায় একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তারা একসঙ্গে এই গানটি গাইবেন। আয়োজকের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

দুই শিল্পীর যৌথ প্রযোজনার এই গান গত মাসে ইউটিউবে রিলিজ হওয়ার পর ৪০ কোটিবার দেখা হয়েছে।

ব্রুনো মার্স ও রোসে। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
ব্রুনো মার্স ও রোসে। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

গানটিতে 'আপাতিউ' শব্দটি বারবার গেয়ে শোনান রোসে। এ শব্দের অর্থ কোরীয় ভাষায় 'অ্যাপার্টমেন্ট'। ইলেক্ট্রো-পপ গানটি আন্তর্জাতিক চার্টগুলোতে সাফল্য পেয়েছে এবং সামাজিক মাধ্যমে সবাই এই গানের তালে নেচে ভিডিও, শর্টস আর রিলস পোস্ট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে টিকটকেও এই গানের ব্যবহার ছিল শীর্ষে।

দক্ষিণ কোরিয়ার টিভি মিউজিক চ্যানেল এমনেট তাদের ওয়েবসাইটে ঘোষণা দেয়, জাপানের মামা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে আজ শুক্রবার প্রথমবারের মতো 'এপিটি' গানটি নেচে গেয়ে পরিবেশন করবেন রোসে ও ব্রুনো মার্স।

এপিটি (আপাতিউ) গানের আনুষ্ঠানিক মিউজিক ভিডিও।

কে-পপের জগতে এমনেট এশিয়ান মিউজিক অ্যাওয়ার্ড (মামা) বেশ বড় অনুষ্ঠান।

রোসে (২৭) অত্যন্ত জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড ব্ল্যাকপিংকের অন্যতম সদস্য। প্রথম নারীপ্রধান কে-পপ ব্যান্ড হিসেবে ব্ল্যাকপিংক মার্কিন বিলবোর্ড ২০০ চার্টের শীর্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল।

আটলান্টিক রেকর্ডসের সঙ্গে চুক্তির পর মার্কিন তারকা ব্রুনো মার্সের সঙ্গে কাজ শুরু করেন রোসে।

রোসে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমি জানতাম মানুষ এই গানের সঙ্গে নাচতে চাইবে। কিন্তু আমি ভাবিনি গানটি রিলিজের পর এত দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে। আমরা একদম শেষ মুহূর্তে এই গানের বিষয়ে মানুষকে জানিয়েছিলাম।'

এপিটি গানের মিউজিক ভিডিওতে ব্রুনো মার্স ও রোসে। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
এপিটি গানের মিউজিক ভিডিওতে ব্রুনো মার্স ও রোসে। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েকজন শিক্ষার্থী এএফপিকে জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার আগে এই গান শোনা থেকে তারা বিরত থেকেছেন, কারণ এই গানের আবেদন অনেক বেশি, যা তাদের মনোযোগ বিঘ্নিত করতে পারে।

রোসের আসল নাম রোসেঅ্যান পার্ক। নিউজিল্যান্ডে এক দক্ষিণ কোরীয় পরিবারে জন্ম নেওয়া এই তারকা অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে ওঠেন। পরবর্তীতে তিনি নিজেকে কে-পপ তারকা হিসেবে গড়ে তোলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

10h ago