এবার লোহিত সাগরে যৌথ নৌ-মহড়ার অংশ নেবে ইরান-সৌদি আরব
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের চলমান সামরিক আগ্রাসনের মাঝে সম্প্রতি ওমান সাগরে যৌথ নৌ মহড়ায় অংশ নিয়েছে ইরান ও সৌদি আরব।
গতকাল বুধবার এএফপির বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে টাইমস অব ইসরায়েল।
আগামীতে লোহিত সাগরেও এই দুই দেশের নৌবাহিনী যৌথ সামরিক মহড়া করবে বলে নিশ্চিত করেছে ইরান। খবর তেহরান টাইমস ও টাইমস অব ইসরায়েলের।
শিয়া অধ্যুষিত ইরান ও সুন্নি অধ্যুষিত সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের দুই বিপক্ষ শক্তি। ২০১৬ সালে এই দুই দেশ নিজেদের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নও করেছিল। তবে গাজায় গণহত্যার মাঝে গতবছর চীনের মধ্যস্থতায় আবার সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে তারা।
সৌদি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তুর্কি আল-মালকি গতকাল এএফপিকে বলেন, 'রাজকীয় সৌদি নৌবাহিনী সম্প্রতি ওমান সাগরে ইরান ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে একটি যৌথ নৌ মহড়া শেষ করেছে'।
এদিকে ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানির বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা আইএসএনএ জানিয়েছে, সামনে লোহিত সাগরে যৌথ মহড়া আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব।
অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় চলছে। অনুশীলনটি কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা প্রয়োজনীয় আলোচনা করবে'।
২০১৬ সালে একজন প্রখ্যাত শিয়া ধর্মগুরুকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সৌদি আরব। এর জের ধরেই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইরান। এদিকে ইয়েমেনে সৌদি সমর্থিত সরকারকে উচ্ছেদ করায় ইরান সমর্থিত হুতি সেনাদের সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন একটি জোট।
তবে সম্প্রতি গাজায় গণহত্যা ও লেবাননে ইসরায়েলের চলমান অভিযানের মাঝে আবার সম্পর্ক জোরদার করে ইরান ও সৌদি আরব।
চলতি মাসের শুরুতে রিয়াদ সফর করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি, দেখা করেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের আগ্রাসন আরও বাড়লে এই দুই দেশ জোট করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
Comments